চট্টগ্রাম : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অবৈধ হস্তেেপর কারণেই বন্দরের অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার চট্টগ্রাম কাবে বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ শিপার্স কাউন্সিল আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রীর সামনেই ব্যবসায়ীরা সংসদীয় কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি এ অভিযোগ করেন।
ব্যবসায়ীদের এ অভিযোগ নাকচ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের কাজে খবরদারী করেন না, বিভিন্ন পরামর্শ দেন। বিধি অনুযায়ী কমিটির সদস্যরা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। ’
অন্যদিকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন অভিযোগ প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ‘আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি তারা প্রমাণ করুক আমরা কোন কাজে হস্তপে করেছি। আমরা বন্দর কর্তৃপকে আইন মেনে কাজ করতে বাধ্য করি। এতে স্বার্থান্বেষী কিছু ব্যবসায়ীর স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তারাই এখন সংসদীয় কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’
‘বিশ্ববাণিজ্যের প্রোপটে চট্টগ্রাম বন্দরের সাম্প্রতিক গতিশীলতা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
বৈঠকে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি সংসদীয় কমিটির সদস্যদের অবাঞ্চিত হস্তপে বন্ধ করতে কোনো পদপে নিতে পারবেন কি-না সরাসরি বলুন। না পারলে চট্টগ্রাম বন্দরের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। আপনি আমাদের সিদ্ধান্ত দিন, আমরা ব্যবসা করব না-কি ছেড়ে দেব। ’
বৈঠকে চট্টগ্রাম চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপার্স কাউন্সিল, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, মাস্টার স্টিভিডোরস অ্যাসেসিয়েশন, বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, বারভিডা, ফ্রেইট ফরোয়াডার্স, অর্থনীতি সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের ৩৬ জন প্রতিনিধি এবং বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর আর ইউ আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে অধিকাংশ বক্তাই কনটেইনার টার্মিনালের টেন্ডার এবং বার্থ অপারেটর নিয়োগে জটিলতার জন্য সরাসরি সংসদীয় কমিটির সদস্যদের দায়ী করে করেন।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারদলীয় সাংসদ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এমএ লতিফ বন্দরের অবনতিশীল পরিস্থিতির জন্য নৌমন্ত্রী ও বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর আরইউ আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১০