ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজার স্থিতিশীল, কমেনি কাঁচা মরিচের ‘ঝাল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
সবজির বাজার স্থিতিশীল, কমেনি কাঁচা মরিচের ‘ঝাল’

ঢাকা: আমদানির পরেও দেশের খুচরা বাজারে কমেনি কাঁচা মরিচের দাম। তবে ঈদের পরে সবজির বাজার রয়েছে স্থিতিশীল।

শনিবার (৩০ জুন) রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ও স্থানীয় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, আর ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।

কেন মরিচের দাম এত বেশি জানতে চাইলে সাততলা বাজারের বিক্রেতা শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, দাম বাড়ার আসল কারণ জানি না। আমরা বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।  

মরিচের মূল্য নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। আবু আসিফ শাওন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিন পরপর একেকটা জিনিসের দাম বাড়ে। চিন্তা করেন, মরিচের মতো একটা পণ্য ৬০০ টাকা কেজি! এটি কীভাবে সম্ভব। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। তারা সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে।

আজকের বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন রিয়াজুল ইসলাম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। এর মূল কারণ অনেক প্রকার সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে। নতুন সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া কোরবানির গরু পরিবহন করায়, সবজির বাজারে পিকআপভ্যান তথা পরিবহনের একটা সংকট ছিল, তাই সবজির বাজারে এর প্রভাব রয়ে গেছে।  

অন্য দিকে, কিছুটা কমেছে গরু মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাইজ ভেদে পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে জানতে চাইলে মহাখালী মাছ বাজারের বিক্রেতা মোয়াজ্জেম বাংলানিউজকে বলেন, আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা একটু বেশি থাকে, সে কারণেও কিছুটা দাম বাড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।