ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শিল্প-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগের অভাব রয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
শিল্প-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগের অভাব রয়েছে

ঢাকা: শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগের অভাব রয়েছে। যে কারণে শিক্ষাকে পুরোপুরি কর্মমুখী করা যাচ্ছে না।

ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলে মনে করেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেছেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন উন্নততর উৎপাদন, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি। এই লক্ষ্য পূরণে এসএমই শিল্প ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো তাগিদ জরুরি।

সোমবার (২১ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশন ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ফ্রিডরিখ এবার্ট স্টিফটাংয়ের (এঅইএস) উদ্যোগে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ১১ হাজার ১৬০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন মাস থেকে চার বছর মেয়াদী বিভিন্ন কোর্স রয়েছে। তবে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য বলছে, বিদেশে যাওয়া বাংলাদেশিদের শতকরা ৭০ ভাগই সাধারণ শ্রমিক। ৫ ভাগের বেশি নির্মাণ শ্রমিক আর অন্যান্য পেশায় আছেন ২৫ ভাগের মতো। আর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশিয় শিল্প প্রতিষ্ঠানেরও চাহিদা মেটাতে না পারার ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয় সেমিনারে।

কারণগুলো হলো- শিল্প খাতের চাহিদা বিবেচনা করে বেশিরভাগ কারিগরি শিক্ষা একই বিষয়ে প্রশিক্ষণ; শিক্ষানবিশ পদ্ধতি না থাকা এবং এই পেশার সামাজিক স্বীকৃতি অভাব; যোগ্য প্রশিক্ষক সংকট; মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব; কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরনো প্রযুক্তি; শিল্প ও কারিগরি শিক্ষা খাতের মাঝে যোগাযোগের অভাব; নারীর অংশগ্রহণ কম; কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত বৈশ্বিক স্বীকৃতির অভাব; বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো এবং মজুরির মানের মাঝে সমন্বয়হীনতা এবং কারিগরি শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের দূরত্ব।

সমস্যা সমাধানে শিল্প ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগাযোগ বাড়াতে শিক্ষানবিশ পদ্ধতি কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হয় সেমিনারে। এক্ষেত্রে ৭ম ও ৮ম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দক্ষতা উন্নয়ন কৌশল, বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, শিক্ষানবিশ গাইডলাইন ২০২২, বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২৭ এবং জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের নির্দেশনা কার্যকরের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠানে দেশের টেকনিকেল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, এসএমই উদ্যোক্তা, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং প্রাণ-আরএফএল’র পরিচালক উজমা চৌধুরী।

বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং এফইএস বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ফেলিক্স কোলবিটজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শরীয়ত উল্লাহ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।