ঢাকা: বিএনপির ডাকা তৃতীয় ধাপের অবরোধে মতিঝিলের ব্যাংক ও বীমা অফিসেগুলোয় উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সেবা গ্রহীতার হার কিছুটা কম।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসগুলোয় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের প্রধান ভবনের নিচতলার লোকাল শাখায় লাইন ধরে গ্রাহকদের সেবা নিতে দেখা যায়। অপেক্ষমাণ গ্রাহকের সংখ্যাও ছিল সাধারণ।
ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হাসান আহমেদ জানান, তাদের শাখায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় লেনদেন হচ্ছে। যদিও সাধারণ কর্মদিবসের তুলনায় সেবা গ্রহীতার উপস্থিতি কম।
তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা তানভির আহমেদ মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের এ শাখায় এসেছেন একটি জরুরি কাজে। পরিচয় পেয়ে বাংলানিউজ তার সঙ্গে কথা বলে। তানভির জানান, জরুরি কাজ পড়ায় অবরোধের মধ্যেই মতিঝিল এসেছেন তিনি। রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম। মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি এ এলাকায় এসেছেন। ব্যাংকে এসে দেখেন গ্রাহক কম। নিজের কাজটি তাই দ্রুত শেষ করতে পেরেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও গ্রাহক উপস্থিতি স্বাভাবিক। কোনো শাখায় কোনো কর্মকর্তা অনুপস্থিত নেই। কাজও স্বাভাবিক চলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে সাধারণ গ্রাহকের সংখ্যা কম। বিএনপির অবরোধের এ প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, স্টাফ বাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে এসেছেন।
রুপালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরও যথা সময়ে অফিসে এসেছেন। এ ব্যাংকেও গ্রাহক সংখ্যা কম। ব্যাংকের ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক উপস্থিতি কম হলেও লেনদেন ঠিকই হচ্ছে। অবরোধ-হরতালের পূর্বাপর প্রতিষ্ঠানে সাধারণত কম লেনদেন হয়। তবে অনলাইনে বেড়ে যায়। এবারও তাই হচ্ছে।
অবরোধে মতিঝিলের ফুটপাতে হকার মার্কেটে প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিনের অবরোধে দোকান বন্ধ থাকলেও বুধবার খুলেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে। তবে গ্রাহক কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
জেডএ/এমজে