ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্টত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
১৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি  ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা

অর্থ বছরের শেষ প্রান্তিকে এসে দেশের ১৪ ব্যাংকের মূলধন সংকট দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ৫১ লাখ টাকায়। তিন মাস আগে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।

তিন মাসের ব্যবধানে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ৩ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। জুন শেষে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আলোচিত সময়ে মূলধন ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন অগ্রণী, বেসিক, জনতা, রূপালী ব্যাংক, বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেঙ্গল, সিটিজেন, আইসিবি ইসলামী, ন্যাশনাল ও পদ্মা ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বা রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেটের ১০ শতাংশ বা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা আছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী যেসব ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে না, সে ব্যাংকগুলোকে মূলধন ঘাটতিতে থাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তার অর্থ ও মুনাফা থেকে মূলধন সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। যে সব ব্যাংক মূলধনে ঘাটতি পড়ে সেসব ব্যাংক শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৪ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ২ হাজার ১২২ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৭১ কোটি টাকা, সিটিজেন ব্যাংকের ৯৫ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ হাজার ২৪ কোটি টাকা। সাবেক ফারমার্স বা বর্তমান পদ্মা ব্যাংকের ঘাটতি ৬০৮ কোটি টাকা।

আর বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঘাটতি ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

 

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯,২০২৩

জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।