ঢাকা: পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এখনও নানা সমস্যার ভুগছে দেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। সরাসরি রপ্তানির সুযোগ না থাকায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় তারা এ সহায়তা চান।
কমিটির কমিটির চেয়ারম্যান ও শেনজেন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আগে শতভাগ উপকরণ আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন রপ্তানি পণ্যের উপকরণগুলোর দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কোভিডের সময় আমদানি বাধাগ্রস্ত হলেও আমাদের রপ্তানি বন্ধ ছিল না।
বিশ্বে প্যাকেজিং খাতের বিরাট বাজারে ধরার আহ্বান জানিয়ে মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের উদ্যোক্তা আছে, দক্ষ কারিগরও আছে। তারপরও যেসব কারণে আমরা প্যাকেজিং খাতের এত বড় বাজার ধরতে পারছি না সেই কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসতে হবে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইর পরিচালক তপন কুমার মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার পেছনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি ড. যশোধা জীবন দেব নাথ বলেন, ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশ। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির যাত্রায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পকে বাদ দিয়ে হবে না। এজন্য এ শিল্পের সমস্যা সম্ভাবনাও দেখতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, আমির হোসেন নূরানি, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২৪
জেডএ/এসআইএ