ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতি সমিতির ১১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
অর্থনীতি সমিতির ১১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব

ঢাকা: আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সরকারের বাজেটের তুলনায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।

সোমবার (০৩ জুন) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক সভাপতি ড. আবুল বারকাত ও ড. জামাল উদ্দিন।

প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাজেট বরাদ্দের ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশের জোগান দেবে সরকারের রাজস্ব আয়। আর বাজেটের বাকি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার ৯৫ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় থেকে ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব থেকে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকা।

আইনুল ইসলাম বলেন, বিকল্প বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ নিট-এর কোনো ভূমিকা থাকবে না, যা চলতি অর্থবছরের সরকারি বাজেটে ঘাটতি পূরণে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আমরা বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক ঋণের দ্বারস্থ হতে চাই না।

আগামী ১০ বছরে ৭টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনুল ইসলাম। এগুলো হলো ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত করা, বৈষম্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা, ধনীর সম্পদ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বণ্টন, উন্নয়নে দেশজ অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব, মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত করার সুযোগ তৈরি এবং শোভন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

বিকল্প বাজেট অর্থায়নে সরকারের আয়ের ২৭টি নতুন উৎস প্রস্তাব তুলে ধরে অর্থনীতি সমিতি। এগুলো হলো (১) কালোটাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, (২) অর্থ পাচার উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, (৩) সম্পদ কর, (৪) অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর (অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যসহ), (৫) বিলাসী দ্রব্য বা পণ্যের ওপর কর, (৬)  সংসদ সদস্যসহ গাড়ির ওপর শুল্ক মওকুফ বাতিল থেকে কর, (৭) বিদেশি নাগরিকদের ওপর কর, (৮) সেবা থেকে প্রাপ্ত কর, (৯) বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ কর, (১০) পণ্যের ওপর রয়্যালটি ও সম্পদ থেকে আয়, (১১) প্রতিরক্ষা বাবদ প্রাপ্তি, (১২) রেলপথ, (১৩) ডাক বিভাগ, (১৪) সরকারের সম্পদ বিক্রয়, (১৫) সেচবাবদ প্রাপ্তি, (১৬) তার ও টেলিফোন বোর্ড, (১৭) টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন, (১৮) এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, (১৯) ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি কমিশন, (২০) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, (২১) বিআইডাব্লিউটিএ, (২২) পৌর হোল্ডিং কর, (২৩) ডিজি হেলথ: বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমতি ও নবায়ন ফি (২৪) ডিজি ড্রাগস: ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি লাইসেন্স এবং নবায়ন ফিস, (২৫) বিউটিপার্লার সেবালব্ধ কর, (২৬) আবাসিক হোটেল/গেস্ট হাউস ক্যাপাসিটি কর এবং (২৭) বিদেশি পরামর্শ ফি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
জেডএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।