ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করায় নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করায় নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা

সাভার (ঢাকা): ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও অপর মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জেরে গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স সীমা বেগম (৪২) নামের এক নারীকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২ জুন নিখোঁজ হন সীমা বেগম।

নিহত সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদ মিয়াকে মাদকসহ গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছিলেন।

আটকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি সাভারের ইমান্দিপুরের মাদক ব্যবসায়ী। সাইফুলের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থল থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ স্বপনের স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর নিহত 'মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তাকে মারার জন্য। এর দুইদিন পর থেকেই আমার মা নিখোঁজ। আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার মাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে মাদক কারবারি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে বিরুলিয়ার ওই এলাকা থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জেনেছি সীমা বেগম র‌্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। আমরাও মাদক উদ্ধারে তার সহযোগিতা নিয়েছি। সীমা বেগমের নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করি। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।