ঢাকা, রবিবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২ সফর ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টিসিবি কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
টিসিবি কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না, তাৎক্ষণিকভাবে খোলাবাজারে কিছু বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা  ড .সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুব দ্রুত টিসিবির কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অর্থনীতির সঙ্গে কতোগুলো নার্ভস আছে। যেমন ব্যাংকিং খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সেটা সরকারি, বেসরকারি খাত, দেশের অভ্যন্তরে বা বিদেশে সেটা যেখানেই হোক। এটা ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না। কোনো কর্মসংস্থান হতে পারে না। মানুষের আয়ের সংস্থান হয় না। এক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টর বড় রোল প্লে করবে। এটা হচ্ছে নির্দেশনা।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় হচ্ছে মূল্যস্ফীতিতে নজর দিতে হবে। এরসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি করতে হবে। এর বাইরে যদি কিছু করতে হয়, যেমন মজুত করা সেবিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে বলবো। আমাদের এলডিসি গ্রাজুয়েশনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব বিষয় পেন্ডিং রয়েছে সেগুলো দ্রুত করবো। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বাজার ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট কিভাবে নিয়ন্ত্রণে করবেন জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কারওয়ান বাজারেই একটা পণ্য চারবার হাতবদল হয়, তাই না। এগুলো প্রিজামপটিভ মানি, তুমি এত টাকায় বিক্রি করলে এত টাকা পাবে। এভাবে টাকা আদায় করা হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি হয়, একটা ট্রাক ঢাকা পর্যন্ত আসতে সাত হাজার টাকা লাগে, কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন। তবে এটা কিন্তু বাণিজ্য কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না। এটা যাদের দায়িত্ব, তাদের সঙ্গে কথা বলবো।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অনেকে আত্মগোপনে গেছে। নতুন করে চাঁদাবাজ তৈরি হবে না, সেই নিশ্চয়তা কী, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে অনেক প্রতিবেদন আসছে। চাল কিনবে চাতাল থেকে, এক গ্রুপ নিয়ে চলে গেছে, আরেকগ্রুপ এসে আবার চাঁদা দাবি করেছে। তখন আমি বলেছি, তাৎক্ষণিকভাবে ডেপুটি কমিশনারকে বলো খোঁজখবর নিতে, যাতে ভালো ব্যবসায়ীরা বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আমি জানি, একগোষ্ঠী গেলে, নতুন আরেক গোষ্ঠী আসবে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে খোলাবাজারে কিছু বিক্রি করতে হবে। তবে সবকিছু একদিনে প্রত্যাশা করলেতো চলবে না। হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ করে দিলে নিষ্পাপ লোকজন ভুক্তভোগী হবেন। এটা যেন বন্ধ না হয়। বাজারে সিঙ্গনাল দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ সময়ে টিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে টিসিবির ডিস্ট্রিবিউশন স্থগিত আছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কিছু স্টেকহোল্ডার রয়েছে তারা নিখোঁজ আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটা চালু করা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চারটি টিম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে সারাদেশে আমাদের কর্মকর্তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আমরা ছাত্ররা যে অভিযান করছে এখন থেকে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।

এছাড়া বাজারে মূল্যতালিকার পাশাপাশি পাকা ভাউচার দিতে হবে। এগুলো না করে হঠাৎ হঠাৎ অভিযান করলে কোনো লাভ হবে না।

চাঁদাবাজি কমাতে কি ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও একচাটিয়া ব্যবসা হলে জনগণের ভোগান্তি হয়। কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখনই সব বলবো না। তবে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮,২০২৪
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।