ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রেমিট্যান্সে গতি ফিরেছে: এক মাসে বেড়েছে ৮ কোটি ডলার

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১০
রেমিট্যান্সে গতি ফিরেছে: এক মাসে বেড়েছে ৮ কোটি ডলার

ঢাকা: প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের আবারও গতি ফিরেছে। অক্টোবরে বিশ্বের প্রায় ১শ’টি দেশ থেকে ৯১ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

যা আগের মাসের চেয়ে ৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার মার্কিন ডলার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ৮৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ঈদ সামনে রেখেই রেমিট্যান্সের পরিমান বেড়েছে।

প্রতিবছরই এসময় রেমিট্যান্সের পরিমান বাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা তাদের বাড়িতে কোরবানীর জন্য অধিকাহারে রেমিট্যান্স পাঠান। ’

সূত্র জানায়, অক্টোবরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্য্যাংকের মাধ্যমে মোট ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার ডলার আসে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক থেকে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে।

বেসরকারি ৩০টি ব্যাংক গত মাসে মোট ৬২ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার এসেছে। বিদেশে ইসলামী ব্যাংকের একাধিক মানি চেঞ্জার হাউজ থাকার কারণেই প্রতি মাসে রেমিটেন্সের পরিমান বাড়ছে।
 
এছাড়া রেমিটেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বারের মত শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। এ ব্যাংকটি অক্টোবরে প্রায় ১১ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলো গত মাসে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৩৩ হাজার ডলার।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রেমিটেন্সের পরিমান অনেকটা কম।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া তথ্য মতে, গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে রেমিট্যান্স আসে  ৩৬০ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ বছর ওই একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ৩৫৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তার জানান, রেমিট্যান্স বেশি এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। এরপর এসেছে সৌদি আরব থেকে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে।

এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যে এক্সিম, স্ট্যার্ন্ডাড এবং প্রাইম ব্যাংকের এক্সচেন্স হাউজ খোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি ব্যাংকের এক্সচেন্স হাউজ খোলার সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে।

এছাড়া বর্তমানে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ৩৬টি এক্সচেন্স হাউজ রয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন করে এক্সচেন্স হাউজের সংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ পদক্ষেপ সম্পন্ন করা হলে আগামীতে আরো বেশি রেমিটেন্স আসবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ সময় ২১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।