ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ট্রানজিট ব্যবহার বিধিমালা প্রণয়নে আরও দু’ তিন মাস লাগবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১০
‘ট্রানজিট ব্যবহার বিধিমালা প্রণয়নে আরও দু’ তিন মাস লাগবে’

ঢাকা: ট্রানজিট ব্যবহারের বিধিমালা প্রণয়নে আরও দু’-তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
সোমবার বিকেলে নিজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রজিত মিত্রর সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।


 
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও প্রকার মাশুল ছাড়া ভারতকে ট্রানজিট ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে বিরোধী দল বিএনপি যে দাবি জানিয়ে আসছে তার সঙ্গে সরকারও একমত। ’

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার দলের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে যে মতামত দিয়েছেন সেটা তিনি গ্রহণ করেছেন বলে জানান।

এর বাইরে বিরোধী দলের বিভিন্ন বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক’ বলে আখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী।

আব্দুল মুহিত বলেন, ট্রানজিট আইনে শুল্ক নেওয়ার কোনও বিধান নেই। তবে এর পরিবর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ট্রানজিট ব্যবহারকারী দেশের কাছ থেকে ফি আদায়ের রেওয়াজ রয়েছে। সুতরাং ভারতকেও বাংলাদেশের অবকাঠামো ও স্থাপনা ব্যবহারের বিনিময়ে ফি বা ট্রানজিট চার্জ দিতে হবে।
 
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিকে মূল্যের দিক থেকে ‘সাশ্রয়ী’ (কস্ট ইফেকটিভ) উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আসতে আরও অন্তত দু’ বছর সময় লাগবে।

তিনি জানান, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ চাহিদা যাই হোক, তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মোট ৫শ’ মেগাওয়াটের। এর মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
 
অন্য এক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরটি চালু করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এটা চালু করা হবে। তবে চালুর আগে সেখানে রাজস্ব বোর্ডের একটি স্টেশন স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।