ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইর বাজার মূলধন সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০
ডিএসইর বাজার মূলধন সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার ডিএসইর বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে ৫ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।

এটি একদিনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন।
 
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ডিএসইর বাজার মূলধন ৩ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার বাজার ঊর্ধমুখী থাকায় প্রতিদিনই বাজার মূলধন বৃদ্ধিতে নতুন নতুন রেকর্ড হয়। অব্যাহতভাবে পুঁজিবাজারের ঊর্ধগতির কারণে গত ২ মাসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

বাজারের ঊর্ধগতিতে সম্প্রতি ডিএসই ও সিএসই যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তা কোনো কাজে আসেনি। বরং প্রতিদিনই বাজারে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
   
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে যে হারে বিনিয়োগকারী প্রবেশ করছে সে তুলনায় বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় শেয়ারের সরবরাহ কম থাকায় শেয়ারের দাম বাড়ছে।

গত কয়েকদিনের মতো সোমবার ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের ঊর্ধমুখী ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

লেনদেন হওয়া ২৩২ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯২ টির, কমেছে ৪১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ টি কোম্পানির শেয়ার।

দিনশেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৭৩ কোটি  ৬০ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৩৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বেশি।

বাজারের এই ঊর্ধগতি সর্ম্পকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের শেয়ার বাজার অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। আর প্রতিদিনই এই ঝুঁকির পরিমাণ বাড়ছে। এই ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হলে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের সাবধানে বিনিয়োগ করা উচিত। ’
   
সোমবার লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- ইউসিবিএল, বেক্সিমকো লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, ইসলামী ব্যাংক, পিপলস্ লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, হাইডেলবার্জ সিমেন্ট ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

অন্যদিকে দর বৃদ্ধিতে প্রধান ১০টি কো¤পনি হলো- দুলামিয়া কটন, মালেক স্পিনিং, ফেডারেল ইন্সুরেন্স, দেশ গার্মেন্টস্, এইচআর টেক্সটাইল, মুন্নু সিরামিকস্, হাক্কানী পাল্প, জুট স্পিনার্স, সোনালী আঁশ ও রহিমা ফুড।

দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- সায়হাম টেক্সটাইল, ৭ম আইসিবি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ২য় আইসিবি, ডেসকো, ইসলামী ফাইন্যান্স, খুলনা পাওয়ার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার ও মির‌্যাকল ইন্ডাস্ট্রিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।