ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নেপাল থেকে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০
নেপাল থেকে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব

ঢাকা: নেপালের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে এ বিদ্যুত পাওয়া যাবে।



প্রতিবেশি দেশ নেপাল ও ভুটান থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঁচদিনের নেপাল ও ভুটান সফরে রয়েছেন।

সেখানে ট্রানজিটসহ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়।
 
প্রতিনিধিদলের সদস্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাসুম আল-বেরুনী সোমবার কাঠমান্ডু থেকে বাংলানিউজকে জানান, নেপালের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সফরের প্রথম দু’দিন তারা কাঠমান্ডু অবস্থান করেন। মঙ্গলবার প্রতিনিধিদল যাবে ভুটানের রাজধানী থিম্পু। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের ট্রানজিটের রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই তারা মূলত ওই দেশদু’টি সফর করছেন।

মাসুম আল বেরুনী বলেন, ‘নেপালের সপ্তকোষী জলাধারের পানি থেকে ৮৩ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি মহাপরিকল্পনা রয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘নেপালের ওই প্রকল্প শেষ হতে বিশ বছর সময় লাগবে। তবে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে দু’তিন বছরের মধ্যে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ’

নেপালের ওই মহাপ্রকল্পটি ভারত ও নেপালের আর্থিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশও ওই প্রকল্পের অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান মাসুম আল বেরুনী।   তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ওই প্রকল্প থেকে প্রথম পর্যায়ে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার চেষ্টা করছে। পরে পূর্ণ উৎপাদনে গেলে আরো বিদ্যুৎ নেওয়া হবে। ’  

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য প্রস্তাবিত বহরমপুর-ভেড়ামারা লাইনের সঙ্গে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লাইন সংযোগ দেওয়া যেতে পারে। ’

মাসুম আল বেরুণী আরও জানান, প্রতিনিধিদল ভুটানের সাংকোশ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেও দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব দেবে।

তিনি বলেন, ‘ভুটানের প্রস্তাবিত সাংকোশ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ২০১১ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়ে দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে শেষ হবে। ’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জানান, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনতে নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১১০ কিলোমিটার হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের প্রয়োজন হবে। ’

সফরকারী প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন পানি সম্পদ সচিব, রেল ও সড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব, যৌথ নদী কমিশনের একজন সদস্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক পরিচালক।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।