ঢাকা: দেশের বাইরে বালু রপ্তানি করবে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে মালদ্বীপকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভূমিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে মালদ্বীপে বালু রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে ভূমিমন্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মালদ্বীপে বালু রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’
তিনি জানান, কী ধরনের এবং কী পরিমাণ বালু নিতে আগ্রহী তা মালদ্বীপের কাছে জানতে চাওয়া হবে। পরে তাদের চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক দর পর্যালোচনা করে দামসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা-৮ অনুযায়ী দেশের চাহিদা মিটিয়ে বালু রপ্তানি করা যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আইনটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। সামনের (ডিসেম্বরে) সংসদ অধিবেশনে জাতীয় সংসদে আইনটি অনুমোদন করা হবে। ’
ধারা-৮ এ বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রণীত রপ্তানি নীতি আদেশের বিধান অনুসরণ করে ও কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বালু বা মাটি বিদেশে রপ্তানি করা যাইবে।
উল্লেখ্য, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী মাটি বা বালু বিদেশে রপ্তানি বিষয়ে একক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের বৈঠকে ছয়টি বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে বিষয়গুলোতে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিষয়গুলো হচ্ছে- ব্যক্তি অথবা সরকারি পর্যায়ে বালু রপ্তানি হবে কি-না, বালু বা মাটি রপ্তানি বিষয়ে রপ্তানি নীতি পর্যালোচনা, রপ্তানি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পদ্ধতি, মূল্য নির্ধারণ, চরের বালু বা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু রপ্তানির ক্ষেত্রে কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে ড্রেজিং করা নদীর অগ্রাধিকার স্থান নির্ধারণ।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০