ঢাকা: পুঁজিবাজারের উর্ধ্বমুখী প্রবণতারোধে মার্জিন লোন রেশিও আরেক দফা কমিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
এসইসি বৃহস্পতিবার মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ক্ষেত্রে ঋণসীমা সর্বোচ্চ ১:১ অনুপাত নির্ধারণ করে দেয়।
এ ব্যাপারে এইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এসইসি-এর এই সিদ্ধান্ত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বাজারে তারল্য (নগদ মুদ্রা) বেড়ে যাওয়ায় বেশ ক’দিন ধরে এসইসি ঋণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। আর তারা যদি নিজেরাই পদক্ষেপ নিতে পারতো তাহলে আমাদের কিছু করার দরকার হতো না। ’
ফরহাদ আহমেদ জানিয়েছেন, বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম কেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এসইসি তা খতিয়ে দেখবে। বাজারের তারল্য(নগদ মুদ্রার প্রবাহ) বেড়ে যাওয়ায় এসইসি আজ থেকেই জোরালোভাবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো পরিদর্শন শুরু করেছে । পরেও তা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত কয়েক মাসে এসইসি বেশ ক’বার মার্জিন লোন রেশিও পরিবর্তন করে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় মার্জিন লোন রেশিও ১:২ থেকে কমিয়ে ১:১.৫-এ নিয়ে আসে। একইসঙ্গে মার্জিন লোনের ক্ষেত্রে পিই (প্রাইস আর্নিং) রেশিও ৭৫ থেকে কমিয়ে ৫০ নির্ধারণ করে দেয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হয়।
এরপরও পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ৩ ফেব্রুয়ারি মার্জিন লোন রেশিও আরেক দফা কমিয়ে ১:১ নির্ধারণ করা হয়। এই সিদ্ধান্ত গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। পরে বাজারের লেনদেন ও শেয়ারের দাম কমে আসায় এসইসি ১৮ মার্চ আবার মার্জিন লোন রেশিও বাড়িয়ে ১:১.৫ করে।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৬ ঘন্টা, জুলাই ৮, ২০১০