রাজশাহী: প্রতিদিনই নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে রাজশাহীর পুঁজিবাজারে। নগরীর সাতটি ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে এখন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ যুক্ত রয়েছেন এ ব্যবসায়।
ওয়ান ইলেভেনের পর কালো টাকা সাদা করতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেড়ে যায়। ফলে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম। এছাড়াও বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)’র মাধ্যমে আসে নতুন বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ার। এ কারণে খুব দ্রুত পুঁজিবাজারের বিস্তৃতি ঘটে রাজশাহীতে।
এদিকে, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে এক এক করে চালু হয়েছে সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ। চলতি বছর সর্বশেষ ব্রোকারেজ হাউজ চালু করে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এসব ব্রোকারেজ হাউজের মধ্যে বিশেষ করে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি (আইএসটিসিএল) ও আইসিবি সিকিউরিটি ম্যনেজমেন্ট লি. (আইসিএমএল)-এ আসছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। কর্মজীবী নারীসহ ুদ্র ব্যবসায়ীরাও এখন শেয়ার বাজারে পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। এমনকি পান দোকানদারও পুঁজি খাটাচ্ছেন শেয়ার বাজারে। এ কারণে আইসিবি’র বর্ধিত ফোরেও জায়গা সঙ্কুুলান হচ্ছে না। বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খোলার পরিমাণও বাড়ছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে।
আইসিবি’র ব্রোকারেজ হাউজ আইএসটিসিএল রাজশাহীতে প্রথম অনলাইন ট্রেড শুরু করে ২০০৫ সালের ১৬ জুন। ওই সময় তারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেড করতো। এরপর এক এক করে খোলা হয় গ্লোব সিকিউরিটিজ লি., শ্যামল ইকুইটিজ ম্যানেজমেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স, এনসিসি ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউজ ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ব্রোকারেজ হাউজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নির্দিষ্ট পেশার বাইরে বাড়তি আয়ের উত্তম সুযোগ হিসেবে স্বল্প পুঁজি নিয়ে তারা শেয়ার ব্যবসায় নেমেছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৩০, জুলাই ১০, ২০১০