ঢাকা: সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস ও বিদুৎ পেতে হলে এ খাতে বিদেশি কোম্পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। এছাড়া তেল, গ্যাস, কয়লা উৎপাদন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ১ থেকে ২ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বিয়াম মিলনায়তনে ‘সাপ্তাহিক’ আয়োজিত ‘বিদুৎ সংঙ্কট ও জনস্বার্থ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি যত বাড়বে আমাদের ভার তত বেড়ে যাবে। আমাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাও ব্যাহত হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি খাত বিশেষ করে তেল, বিদুৎ, গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা, জাতীয়ভাবে নতুন পরিকল্পনা তৈরি ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ২ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে তিনি পেট্রোবাংলাসহ দেশীয় প্রতিষ্ঠনগুলোকে সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, সাঙ্গুতে শেভরন মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এখানে মজুদ বেশি দেখানো হয়েছে। এর কারণে উৎপাদন খরচও বেশি দেখানো হয়েছে। বাস্তবে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই গ্যাস শেষ হয়ে গেছে। যারা এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুনাফা লুটে নেয় তাদের কেন নতুন করে গ্যাস ক্ষেত্র বরাদ্দ দেওয়া হয় ?
কয়লা উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদনের পক্ষে জনমত গড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়নি।
সরকার নিজেদের কর্তৃত্বে পরিবেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে কয়লা উত্তোলন করলে এটা হবে রাজনৈতিক বিজয়। যে সরকার এছাড়া অন্য চিন্তা করবে ওই সরকার জনস্বার্থবিরোধী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘সাপ্তাহিক’র সহকারি সম্পদক শুভ কিবরিয়া। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ, প্রকৌশলী বিডি রহমতুল্লা, তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা আমানুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫, জুলাই ১০,২০১০