ঢাকা: রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং কমিটি করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। সংগঠনের সভাপতি একে আজাদ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের একথা জানান।
রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভাশেষে তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) বিকেলের মধ্যেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে আলোচনার ভিত্তিতে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। ’
কমিটিতে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির কথাও জানান তিনি।
একে আজাদ বলেন, ‘এখন তো বাজার স্থিতিশীল আছে। তবে রমজানে কেন দাম বাড়েÑ বিষয়টি তদারক করা হবে। একই সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। ’
কারওয়ানবাজার আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, কাঁচামালের সরবরাহের ওপর পণ্যের দাম নির্ভর করে। এ কারণে আগে থেকেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হাবিব জানান, দেশে প্রতি মাসে চিনির চাহিদা এক লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। রমজানে এ চাহিদা দাঁড়ায় আড়াই লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি।
তিনি বলেন, ‘দেশের চিনিকলগুলো চাহিদা মেটাতে না পারায় আমদানি করতে হয়। আমদানিকৃত চিনির ওপর টনপ্রতি চার হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধের ফলে দাম বেড়ে যায়। ’
এছাড়া অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক না নেওয়া হলেও ওই চিনি কারখানাগুলোতে পরিশোধনের ক্ষমতা কম থাকায় সময়মতো সরবারহ করা যায় না বলেও দাম বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আলোচকরা যেসব পণ্যের দাম বেড়ে যায় সেগুলো আগে থেকে কিনে মজুদ রাখতে এবং ওইসব পণ্য কম কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
একে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শফি, মৌলভীবাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সাারণ সম্পাদক হাজী মো. গোলাম মওলা, এস আলম গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা মতিউর রহমান মুন্সী, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১০