ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে চলমান একটি প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে। রোববার(২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁও এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ ঋণচুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেসবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাথন জাট ঋণ-চুক্তিতে সই করবেন।
ইআরডি সূত্র মতে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির(পিইডিপি-৩) আওতায় এই টাকা খরচ করা হবে।
গত মঙ্গলবার(১৩ জানুয়ারি’২০১৫) শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় চলমান প্রকল্পটির সংশোধনীতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সংশোধিত এ প্রকল্পের নাম তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি(পিইডিপি - ৩)-১ম সংশোধিত।
প্রাথমিক বিদ্যালয় গমনোপযোগী সব ছেলে-মেয়ে যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ৫ বছর মেয়াদী শিক্ষা শেষ করতে পারে সে জন্যই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০১১ সালের আগস্টে যখন প্রথম অনুমোদিত হয় তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ১শ ৯৬ কোটি টাকা।
২০১১ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় ২০১১ সালের আগস্ট মাসে। এ জন্য ঐ অর্থ বছরে প্রকল্পটির অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া যায়নি। ফলে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কিছুটা পিছিয়ে পরে যা শেষ করতে অতিরিক্ত দেড় বছর প্রয়োজন হয়।
বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১ শ ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছে। এসব বিদ্যালয়ের জন্য অতিরিক্ত ১জন করে প্রি-প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এ প্রকল্প থেকে করায় প্রকল্পে কিছুটা সংশোধনী আনা হয়।
এছাড়াও জাতীয়করণকৃত এই ২৬ হাজারের উপরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে শ্রেণিকক্ষ পর্যায়ে ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এই প্রকল্পের আওতায় সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এজন্যও প্রকল্প সংশোধিত হয়। মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় পর্যায়ে শিখন-শেখানো পরিবেশের উন্নয়নের জন্যই এ প্রকল্পে কিছুটা সংশোধনী আনা হয়। পিইডিপি-৩ কর্মসূচির বাকি কাজ সম্পূর্ণ করতে বিশ্বব্যাংকের ৪০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হবে বলে ইআরডি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫