ঢাকা: অনুমোদনহীন শাখার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণের অভিযোগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত আরাফাত সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন এক মাস স্থগিত করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সোমবার থেকে এ স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে।
রোববার বিকেলে কমিশনের এক সভায় ব্রোকারেজ হাউজটির বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া শেয়ার কিনে দেওয়ার জন্য অর্থ গ্রহণের অভিযোগে মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তির ব্যাংকহিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।
এব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র ফরহাদ আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন, আরাফাত সিকিউরিটিজ এসইসির অনুমোদন ছাড়াই নওগাঁয় একটি শাখা চালু করে শেয়ার লেনদেন ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করেছে। এতে এসইসির আইন লংঙ্ঘন হওয়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে আরাফাত সিকিউরিটিজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাবর আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, নওগাঁয় তাদের কোনো শাখা নেই। নওগাঁ থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে ঢাকায় লেনদেন করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মুহুর্তে আরাফাত সিকিউরিটিজ হাউজে ৩৩ হাজারেরও বেশি বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসির এক কর্মকর্তা জানান, এই ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছা করলে লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজে ট্রেড করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁয় শাখা স্থাপনের জন্য আরাফাত সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে কয়েক মাস আগে এসইসি’তে একটি আবেদন করা হয়। নিয়মানুযায়ী এসইসি’র একজন কর্মকর্তা নওগাঁয় শাখা পরিদর্শনে যান। তিনি গিয়ে এসইসি’র অনুমোদন ছাড়াই ওই শাখার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নেওয়ার প্রমাণ পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে তিনি এসব অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১০