ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকার উড়াল সড়কের কাজ ২০১৯ সালেই শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
ঢাকার উড়াল সড়কের কাজ ২০১৯ সালেই শেষ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার উড়াল সড়কের (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মধুমতি ব্যাংকের দুই বছর পূর্তি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।



ভবিষ্যতে গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সড়ক চার লেন এবং এয়ারপোর্ট থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে আপনারা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবেন।

মন্ত্রী মধুমতি ব্যাংকের দুই বছর পূর্তিতে বলেন, ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতারা রাজনৈতিক ব্যক্তি হলেও তারা প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিকীকরণ করেননি। অধিকাংশ মালিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও ব্যাংকে কোনো হস্তক্ষেপ করেন না।

ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং এর ফলে ব্যাংকটি সুনামের অধিকারী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মধুমতি ব্যাংক ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে অর্থায়ন করছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় একাধিক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলছে। এ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ১৬টি স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন এতে ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এর কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের মধ্যেই।

অনুষ্ঠানে আরও অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মুধমতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মধুমতি ব্যাংক ২০১৩ সালে যাত্রা করে এ পর্যন্ত ১২টি শাখা খুলতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাংকটির গ্রাহক হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫২২টি। গত আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর ফলে দেশের সাড়ে চার হাজার ডিজিটাল সেন্ডার থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যাংকিং সেবা পাবেন গ্রাহকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।