ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে শুল্ক কমানোর পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে শুল্ক কমানোর পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: ‘দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনাময় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানব সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি এসব দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে শুল্কও কমাতে হবে।



মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে সাউথ এশিয়া ইকোনমিক সম্মেলনের প্লেনারি সেশন-৪ এ ‘দ্য পাওয়ার অব ১.৬ বিলিয়ন: এ ব্লু প্রিন্ট ফর প্রসপারেটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অপ্রয়োজনীয় বাধা দূর এবং সড়ক, রেল, সমুদ্র ও আকাশ পথের যোগাযোগ বিশ^মানের করা একান্ত প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নেপাল, ভারত ও ভুটানের  সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালু করেছে। এ ব্যবস্থাকে আরও সম্প্রসারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য  দুই দেশ অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য বাদে সব ধরনের পণ্য রফতানির সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু অধিক শুল্ক হার এবং অশুল্ক বেরিয়ারের কারণে বাংলাদেশ এর সুযোগ নিতে  করতে পারছে না। তাই এ ধরনের সমস্যা দূর করা জরুরি।

ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন বলেও মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

মন্ত্রী বলেন, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটি আগে ৬৮টি দেশে ২৫টি পণ্য রফতানি করে আয় করতো মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর আজ ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ  আয় করছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

‘২০২১ সালের মধ্যে দেশের রফতানি আয় ৫০বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,’ বলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেব গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দেশ এখন ডিজিটালের দ্বারপ্রান্তে।

‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশ হবে,’ যোগ করেন তিনি।

ভারতের অবজারভার  রিসার্স ফাউন্ডেশনের হেড-স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড ডিসটিংগুইস ফেলো সি রাজা মোহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন রাসো, মালদ্বীপের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন মন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ, নেপালের বাণিজ্য ও সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রী সুনিল বাহাদুর থাপা, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
এমএম/এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।