ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ অক্টোবর খুলনায় ধর্মঘটের ডাক ব্যবসায়ীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
৩ অক্টোবর খুলনায় ধর্মঘটের ডাক ব্যবসায়ীদের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ অক্টোবর দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস ধর্মঘট পালনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনার সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।



সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) অস্বাভাবিকহারে ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করেছে। যা ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের দাবিতে গত দুইমাস ধরে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, অনশন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ বিষয়টির স্থায়ী কোন সমাধান না হওয়ায় খুলনার ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কিন্তু কমিটি কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত প্রদান করবে সে বিষয়ে আমাদের জানা নেই। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রায় তিনমাস সময় অতিবাহিত হতে চলেছে তারপরও খুলনার ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স করতে পারেনি। ফলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে জরিমানা ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে দুইমাস বৃদ্ধি করে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করেছে। আমরা আশা করছি অতি অল্প সময়ের মধ্যে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করে কেসিসি’র বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহার করে নেবে। যতদিন পর্যন্ত বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত খুলনার ব্যবসায়ী সমাজ আন্দোলন করে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। এছাড়া সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ অন্যান্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে কেসিসি’র মেয়রের প্রতি সর্বোচ্চ হারে ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে সর্বনিম্ন হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.এম ওবায়দুল্লাহ, হাজী মোশারেফ হোসেন, শেখ আবেদ আলী, মফিদুল ইসলাম টুটুল, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, মো. আব্দুল গফফার, এম.এম.আসাদুজ্জামান, মো. নুরুল ইসলাম খান কালু, মো. হাফিজুল ইসলাম চন্দন, মো. খুরশিদ আলম কাগজি মিন্টু, মো. ফারুক আহাম্মেদ খান, মো. আইয়ুব আলী খান, অসীম কুমার সোম, মো. নজরুল ইসলাম, শেখ মো. জহির হোসেন, মো. ওসমান গনি, এস,এম,রফিকুল ইসলাম তারেক, এম,এম,আজাহার আলী, কাজী এনায়েত কবীর ডন, মনিরুজ্জামান খান, মিজানুর রহমান বাবু, এন,আলম জুয়েল, মো. শহীদুল্লাহ, মো. হাসান, চ.ম.মুজিবর রহমান, গোলাম মোস্তফা দুলাল, ইসতিয়াক হোসেন সেবা, মোঃ মফিজুল ইসলাম, নইমুজ্জামান টগর, হারুন অর রশিদ, শফিকুর রহমান, গোপাল চন্দ্র সাহা, সমীর কৃষ্ণ হীরা, হায়দার আলী খোকন, আব্দুল মান্নান, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ রিংকু, মোঃ জহির রায়হান, মোঃ নাদের হোসেন,এস,এম,রফিউদ্দিন, চৌধুরী মিনহাজ্জামান সজল, ফয়েজুল ইসলাম টিটু, মোঃ রিয়াজ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমআরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।