ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটশিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি, লাভবান ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
পাটশিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি, লাভবান ভারত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্বাধীনতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের পাটকলগুলোকে জাতীয়করণ করেছিলেন। কিন্তু ৭৫’র ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছে।

এতে লাভবান হয়েছে ভারত।
 
রোববার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সভাটি আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে পাটকলগুলোকে বেসরকারিকরণ করেছে। এর মাধ্যমে শুধু লুটপাট হয়েছে। ধ্বংস করে দিয়েছে পাট শিল্প। এতে লাভবান হয়েছে ভারত।
 
পাট শিল্পকে রক্ষা করতেই হবে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারে আইন হয়েছে। অধ্যাদেশও হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।
 
সরকার পণ্যের বহুমুখীতার নীতি গ্রহণ করেছে। এতে ওষুধ শিল্প, পাট, জাহাজ, ফার্নিচার, আইটি ও অ্যাগ্রো পণ্যের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাটশিল্প। তাই পাটশিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য যা যা করা দরকার সরকার সবই করবে।
 
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবার সহায়তাও কামনা করেন তিনি।
 
মির্জা আজম বলেন, পাটজাত মোড়কের ব্যবহারে আইন করা হলেও আমরা সফল হইনি। তাই সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাট শিল্পকে রক্ষা করতে হবে।
 
তিনি বলেন, ৭৫ সালের পরে বিএনপির ক্ষমতায় এসে পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছে। পাটকলগুলো বেসরকারিকরণ করে লুটপাট করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী জুট মিল। এর ফলে আমরা ৩ লাখ বেল পাটের আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়েছি। আর লাভবান হয়েছে ভারত।
 
মির্জা আজম বলেন, ধান, চাল, গম ভুট্টা, সার ও চিনি এই ছয়টি পণ্যের ক্ষেত্রে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার হলে প্রতিবছর ৫৫ কোটি ব্যাগের প্রয়োজন পড়বে। এতে ২৫ লাখ বেল পাটের প্রয়োজন হবে। তখন দেশীয় বাজারেই পাট শিল্প দাঁড়িয়ে যাবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশ করে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধি আনা যাবে। তাই পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারে আইনটির শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।
 
এ সময় অন্যদের মধ্যে বস্ত্র ও পাট সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার আনিছুর রহমান, পাটকল অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, চালকল মালিক সমিতি, পরিবহন মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন দফতর ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বক্তারা বলেন, শুধু বড় আকারের পাটের ব্যাগ তৈরি হলে হবে না। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হয়, সেটাও বন্ধ করতে হবে।
 
সভায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা পাটজাত মোড়ক ছাড়া অন্য কোনো মোড়কের পণ্য পরিবহন, বিক্রয় না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।