ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিটার্ন জমায় ভাটা

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৫
রিটার্ন জমায় ভাটা ছবি: বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৩০ নভেম্বর ২০১৫-১৬ কর বর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাঙ্খিত সাড়া পায়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
 
একই সঙ্গে কাঙ্খিত আয়করও আদায় হয়নি।

রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ ও সময় বৃদ্ধির আবেদন করেননি এমন করদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
 
সূত্র জানায়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময়সীমা। ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর অনুরোধে ২ মাস (৩০ নভেম্বর পর্যন্ত) সময়সীমা বৃদ্ধি করে এনবিআর।
 
সূত্র জানায়, চলতি করবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০ ব্যক্তি ই-টিআইএন (নতুন ও পুরাতন) নিয়েছে। ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এর মধ্যে ৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৪ জন করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। আয়কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। কারণ দেখিয়ে রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করতে ২ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৮ জন করদাতা আবেদন করেছেন।
 
সূত্র আরো জানায়, ২০১৪-১৫ করবর্ষে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৯০২টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। যেখানে আয়কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭২১ জন করদাতা সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেছেন।
 
সূত্র জানায়, করদাতাদের সুবিধার্থে এবার দুইটি মেলা করে এনবিআর। ১৯-২২ সেপ্টেম্বর সপ্তাহব্যাপী মেলা করে এনবিআর। মেলায় বিভাগ, জেলার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো ৮৬টি উপজেলায় মেলা করা হয়। করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ আটটি স্থানে তিন দিনব্যাপী (১৯-২১ নভেম্বর) শীতকালীন আয়কর মেলাও করে এনবিআর। এরপরও কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এনবিআর।
 
সূত্র আরো জানায়, যেসব করদাতা রিটার্ন দাখিল করেননি বা সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।
 
উল্লেখ্য, আয়কর আইনের ১২৪ ধারা অনুযায়ী, করদাতা নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়করের ১০ শতাংশ জরিমানার বিধান রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার পর প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে জরিমানা। একই সঙ্গে শাস্তি আরোপের পূর্বে করদাতার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।
 
নির্দেশনার বিষয়টি স্বীকার করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. আবদুর রাজ্জাক।
 
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সময়সীমা বৃদ্ধির পরও যেসব করদাতা রিটার্ন দাখিল করেননি তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
আরইউ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।