ঢাকাঃ আরাফাত সিকিউরিটিজ লিমিটেডের জরিমানা মওকুফের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বুধবার অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এই আবেদন অগ্রহণযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এসইসি’র অনুমোদন পাওয়ার আগেই নওগাঁয় আরাফাত সিকিউরিটিজের শাখা স্থাপন করে লেনদেন পরিচালনার বিষয়টি তদন্তের জন্য এসইসি’র পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক বিশ্বস্থ সুত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. ফরহাদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
সঠিকভাবে গ্রাহকের হিসাব সংরক্ষণে ব্যর্থতা, তিন জন গ্রাহকের নামে এবি ব্যাংক, এমইস ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইউএলসি, যমুনা অয়েল এবং বিচ হ্যাচারির শেয়ার শর্ট সেল এবং অনুমোদনবিহীন শেয়ার বিক্রির অভিযোগে গত ১৭ জুন এসইসি আরাফাত সিকিউরিটিজের প্রত্যেক পরিচালককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে।
এসইসি’র ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য এই ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। বুধবার এসইসি’র সভায় আরাফাত সিকিউরিটিজের এই আবেদন পর্যালোচনা করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় জরিমানা মওকুফের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে আরাফাত সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অনুমোদনবিহীন শাখার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে এসইসি’র পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শাখা স্থাপন সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্ত করে তদন্ত কমিটিকে ৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এর আগে অনুমোদনবিহীন শাখার মাধ্যমে লেনদেনের অভিযোগে গত ১ আগস্ট থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য আরাফাত সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সকল কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে এসইসি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে ব্রোকারেজ হাউজটির ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে এসইসি।
এর আগে বিচ হ্যাচারির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর এসইসি আরাফাত সিকিউরিটিজের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিল। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে ১৪ দিনের মাথায় ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এক আদেশে আরাফাত সিকিউরিটিজকে মোট ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের আবেদন নিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া শেয়ার লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগে গত ২৪ জুলাই আরাফাত সিকিউরিটিজকে আরো ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় সমযঃ ১৯৩৬ ঘন্টা ৫ আগস্ট