আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে: ‘এই যে পানি.. পানি… এখানে ১৫, ভেতরে ৩০’- এভাবেই ডেকে ডেকে পানি বিক্রি করছে কয়েকটি শিশু। বাণিজ্য মেলার গেট থেকে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের গেট পর্যন্ত প্রায় অধর্শত পানি বিক্রেতার এমন ডাক শুনতে পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
মেলায় ঢুকলেই তাদের এই ডাকের সত্যতা মিলছে। কোমল পানীয় বোতলের গায়ে ১৫ টাকা লেখা থাকলেও দর্শনার্থীরা মেলার ভেতর থেকে চড়া দামে কিনছেন পানি। ১৫ টাকার বোতল ৩০ টাকা আর কোন কোন খাবারের দোকানে তার চেয়েও বেশি দামে।
সবক’টি খাবার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কেউই নির্ধারিত দামে পানি বিক্রি করছেন না। অন্যান্য খাবারের মতই বেশ চড়া দামে পানি বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
গাজীপুর থেকে মেলায় ঘুরতে আসা মামুন রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি খাবারের দোকানেই সরকার নির্ধারিত একটি মূল্য তালিকা দেয়া আছে। কেউ কেউ দোকানে ঝুলিয়েও রেখেছেন তবে কার্যকর করেননি।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও খাবারের দাম নিয়ে এ জটিলতা যেন কাটছেই না। দেশের নানা অঞ্চল থেকে ঘুরতে আসা হাজারো দর্শনার্থী খাবার খেয়েই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন। আর পিপাসার্ত মানুষকে অনেকটা জিম্মি করেই পানির দুই গুণ তিনগুণ দাম রাখছেন বিক্রেতারা।
মেলায় সবপণ্যেই ছাড় পেয়ে যখন সন্তুষ্ট হয়ে ক্রেতারা একটু ক্ষুধা ও ক্লান্তি মেটাতে ছুটছেন খাবার দোকানে তখনই অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এভাবে প্রতিদিন খাবারের দাম নিয়ে ক্রেতাদের নানা ক্ষোভ প্রকাশ পেলেও শুরু থেকেই নীরব ভূমিকায় মেলা কর্তৃপক্ষ।
মেলা সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেলায় আসলে মানুষ একটু বেশি দামে কিনে খায়-এটা প্রতিবছরই হয়। তাই বিষয়টা নতুন নয়। তবে অভিযোগ পেলে তারা সংশ্লিষ্ট দোকান মালিককে সতর্ক করেন।
অবশ্য গত ১২ জানুয়ারি মেলায় স্টার কাবাব টু, হাজীর বিরিয়ানি এ্যান্ড কাবাব ঘর, হাজীর বিরিয়ানি, হাজীর বিরিয়ানি এ্যান্ড কাবাব হাউস, হাজীর বিরিয়ানি এ্যান্ড কাবাব ও কুমিল্লা মাতৃভাণ্ডারকে এ কারণে ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানান একজন মেলা কর্মকর্তা।
জরিমানা দেয়ার পরও আবার তারা একইভাবে বেশি দামে খাবার বিক্রি শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএ/আরআই