ঢাকা: শীতের শুরুতে কৃষিতে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবের যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। চলতি মৌসুমে এখনো শীত অথবা বৃষ্টির কোনো প্রভাব পড়েনি কৃষিতে।
হালকা বৃষ্টির পর গরম পড়তে শুরু করায় শীতের আবাদ নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাও কেটে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান বাংলানউজকে বলেন, এ মৌসুমে অধিকাংশ ফসলে হালকা সেচ দিতে হয়। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় এ মৌসুমে তার আর দরকার হয়নি। এখন পর্যন্ত যে তাপমাত্রা রয়েছে ও যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে কৃষির জন্য মঙ্গলজনকই বলা চলে।
তিনি জানান, বৃষ্টির পর গরম পড়া শুরু হওয়ায় কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই শঙ্কাও কেটে গেছে। আপাতত চাষিদের কোনো শঙ্কা নেই। তবে আবহাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি পূর্বাভাসের বিষয় নয়। তাই কৃষকদের সতর্ক থেকেই চাষাবাদ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সবজি, তেল, মশলাসহ প্রায় ২০ ধরণের ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এছাড়া রোপা আমন ঘরে তুলে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতিও চলছে সমানতালে।
সূত্র জানায়, আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণের কারণে ফসলে পোকার উপদ্রবও বাড়তে পারে। শীতের ফসলের জন্য শীত একটা সময় পর্যন্ত চলমান না থাকলে ফলনে প্রভাব পড়বে। যেমন সরিষা, বাঁধাকপি, ফুলকপি ঠিকমতো বাড়বে না। ধানের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ কারণে কৃষকদের সচেতনতার সঙ্গে চাষবাদ করতে হবে।
চলতি মৌসুমে শীতের তাপমাত্রার রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা নেমে যায়। গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের কয়েক জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও ফসলের মাঠে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২৫, ২০১৬
একে/এসআর
** শীতে বীজতলা,গম, ভুট্টা, তুলাসহ বিভিন্ন ফসলের যত্ন