ঢাকা: প্রাচীনকাল থেকেই পাখির বাসা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। পাখির সৃজনশীল কর্মের কদর রয়েছে মানুষের কাছে।
পাখির বাসার আদলে ঝারবাতিও বানানো বাদ দেননি প্রকৌশলীরা। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় গিয়ে দেখা গেল, নাজিম গ্রুপের জারা ফার্নিচার ওয়ার্ল্ড নানা ডিজাইনের ঝারবাতি এনেছে। তুরস্ক, মালয়েশিয়া আর চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে বাতিগুলো।
তবে তুরস্কের ঝারবাতিগুলোর শৈলী একেবারে ভিন্ন রকম। মজবুত, স্থায়ীত্বশীল এবং চড়া দাম। ক্রেতাদের আগ্রহও এসব ঝারবাতির প্রতিই।
ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে জারা ফার্নিচার ওয়ার্ল্ডের প্যাভিলিয়নটি ঘুরে দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি ঝারবাতির দিকে। ক্রিস্টাল আর মেটালের তৈরি বাতিটির ভেতরে প্যাঁচানো তার সদৃশ বস্তু। এর ভেতরে খুব সুন্দর করে সেট করা কয়েকটি বাল্ব। নীচের দিক কিংবা বাহির আর উপর থেকে দেখতেও মনে হয়, যেন ঘরের বাতি নয়, ঠিক পাখির বাসা।
এ বাতিটির দাম ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এমনই সুন্দর ডিজাইনের তুরস্কের বড়, ছোট, মাঝারি মডেলের ঝারবাতি এনেছে জারা ফার্নিচার। যার বড় আকারেরটি ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকার এবং ছোট আকারেরগুলো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মালয়েশীয় বড় আকারের ঝারবাতি ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায়, মাঝারির আকারেরগুলো ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার এবং ছোটগুলো ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্যাভিলিয়নটিতে রয়েছে চীনের ছারবাতি।
নাজিম গ্রুপের মেইটেন্যান্স অ্যান্ড পারচেজ ম্যানেজার মোহাম্মদ শাকিল রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তুর্কি বাতিগুলো অতুলনীয়। তাই উচ্চবিত্ত শ্রেণির শৌখিন ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাতিগুলো। আর মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তের যারা তারা সাধারণত মালয়েশিয়ান এবং চাইনিজ ঝকঝকে বাতি কিনে থাকেন।
তবে মেলা যেহেতু সবার। তাই নিন্মমধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধ্যের কথা মাথায় রেখেও প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শাকিল রহমান বলেন, আমরা নিন্মবিত্তদের জন্য ৮ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে ঝারবাতি এনেছি। এগুলো সিঙ্গেল হলেও আকর্ষণীয় ডিজাইনের।
মেলায় অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ঝারবাতি বিক্রিও কম নয়- যোগ করেন শাকিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
ইইউডি/এমজেএফ
** ব্যাচেলরদের জন্য ওয়ালটনের আকর্ষণীয় ফ্রিজ