নেসলের চকোলেটেও জালিয়াতি ধরা পড়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করে তুললেও নেসলে তার পণ্যের মানের ব্যাপারে দিন দিন উদাসীন হচ্ছে তারই নতুন প্রমাণ মিলেছে চকোলেট ব্র্যান্ড কিটক্যাট-এ।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। সেখানে সায়মা আহমেদ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী ৮টি কিটক্যাট কিনে তার একটির মধ্যেও ওয়েফার পাননি। ২ পাউন্ড দিয়ে চকোলেট ক’টি কেনেন সায়মা। আর তা খুলে খেতে গিয়ে দেখেন ভেতরে কেবলই থকথকে চকলেট। কোনও ওয়েফার নেই। একে একে ৮টি প্যাকেট খুলে সবগুলোতেই একই অবস্থা।
২০ বছরের সায়মা আহমেদ এতে বেজায় ক্ষেপেছেন। তার অভিযোগ নেসলের লোকেরা তাদের ভোক্তার প্রতি সামান্য দায়িত্বটুকু পালনেও অবহেলা করছে।
কিংস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সায়মা ছাড়বার পাত্র নয়। ঘেঁটে বের করেছেন ১৯৩০’র দশকে গৃহীত ব্রিটিশ আইন আর কষে একটা মামলা ঠুকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তার আগে নেসলের সিইও বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
‘বিজ্ঞাপনের সময় ওদের মুখে কত বুলি। কিটক্যাট সেরা, কিন্তু কিনে কি পেলাম। স্রেফ হতাশ হতে হলো, মন্তব্য সায়মার।
‘আশা করি ওরা মাফ চাইবে, আর ভবিষ্যতে স্রেফ চটকদার বিজ্ঞাপন নয়, পণ্যের মানের দিকেও কিছুটা নজর দেবে। ’
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনার আগে ভালো করেই ঘেঁটেঘুঁটে দেখেছেন সায়মা। তিনি জেনেছেন, একই অভিযোগ রয়েছে অন্যদেরও। অনলাইনে এ নিয়ে অভিযোগকারীদের একটা ফোরামও গড়ে উঠেছে।
এরপর নেসলেকে একটি চিঠি লিখলেন সায়মা। তাতে তার দাবি ছিলো, সারা জীবন তাকে ওয়েফার সম্মৃদ্ধ কিটক্যাট সরবরাহ করলেই কেবল তার থেকে ক্ষমা পাবে নেসলে। আর ওরা চাইলে তাকে কম্পানির ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ বিভাগের দায়িত্ব দিতে পারে।
নেসলের সিইও তার চিঠির উত্তর দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা সায়মার। কারণ, তার মতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নেসলের ওপর থেকে তার বিশ্বাস পুরোটাই উবে গেছে বলেই ঘোষণা সায়মা আহমেদের।
‘তবে ওরা যদি শুধরায়, আর আমাকে সারাজীবন ধরে কিটক্যাট সরবরাহ করে যায়, তাহলে আমিই ওদের কোয়ালিটি কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করতে পারবো,’ বলেন তিনি।
কোম্পানি যদি কোনও সাড়া না দেয়, আইনি ব্যবস্থায় যাবেন, এ ব্যাপারে বদ্ধপরিকর সায়মা আহমেদ। বিষয়টি চিঠিতে স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন তিনি।
শিশুখাদ্যে জবরদস্তি শিশুশ্রম
নেসলের চকোলেট খাবেন না!
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬
এমএমকে