ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দুখী বাংলা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে অর্ন্তভূক্তিমূলক অর্থায়নের পথ বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় এতে সহায়তা করছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের (তৃতীয় পর্যায়) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গর্ভনর। মাস্টারকার্ড ও ব্যুরো বাংলাদেশ তৃতীয় পর্যায়ের এ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে।
প্রধান অতিথি গর্ভনর বলেন, পার্টনারশিপের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশের উন্নয়ন ও নারীর ক্ষতায়নের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রমী ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ অনেক নারী আর্থিক ও ব্যবসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেলে সফলতা অর্জন করবেন।
মাস্টারকার্ড ও ব্যুরো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের আওতায় নেওয়া তৃতীয় পর্যায়ের এই ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামে জনগোষ্ঠী আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা ও উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, এতে শুধু তাদের দক্ষতাই বাড়বে না, ব্যবসা শুরু করার আস্থাও জোরদার হবে। স্ব স্ব-কর্মসংস্থানে যেসব ঘাটতি রয়েছে, সেটি পূরণ করে হয়ে উঠবেন উদ্যোক্তা। এজন্য মাস্টারকার্ড নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উন্নয়ন এবং বিকাশে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে।
মাস্টারকার্ড কান্ট্রি কর্পোরেট অফিসার ও সাউথ এশিয়ান ডিভিশন প্রেসিডেন্ট পোরুষ সিং বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৪ লাখ নারী এবং মেয়েকে অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থিক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি অর্জিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড সাউথ এশিয়ান এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ভিকাস ভার্মা, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ডিরেক্টর জাকিয়া সুলতানা, ব্যুরো বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির আওতায় ২০১৬ সালে আর্থিক কর্মকাণ্ডমূলক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ২৫ হাজার নতুন নারীকে আর্থিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ দেবে মাস্টারকার্ড ও ব্যুরো বাংলাদেশ।
২০১৩ সালে মাস্টারকার্ডের সঙ্গে এ প্রোগ্রাম প্রথম শুরু করে এনআরবি ব্যাংক। এরপর ২০১৫ সালেও মাস্টারকার্ডের সঙ্গে প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়ন করে এনআরবি ব্যাংক। তৃতীয় পর্যায়ের এ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার নারী প্রশিক্ষিত হবেন। পুরো প্রোগ্রামে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এসই/এইচএ/