ঢাকা: জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর বার্ষিক সম্মেলন- ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলের বলরুমে আয়োজিত সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে ব্যাংকের পরিচালক মো. ইমদাদুল হক, এ কে এম কামরুল ইসলাম, মো. মাহাবুবুর রহমান হিরন, মানিক চন্দ্র দে, খন্দকার সাবেরা ইসলাম, মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, জনতা ব্যাংক অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভালো রেকর্ড অর্জন করেছে। ব্যাংকিং খাত মূলধন ঘাটতিতে পড়লেও জনতা ব্যাংককে সরকারের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিতে হয়নি। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ১৩টি শর্তের মধ্যে ১২টি শর্তই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে জনতা ব্যাংক। দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাংকিং খাতও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাংকগুলোকে কাজ করে যেতে হবে। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ ও দুর্নীতির মাত্রা কমাতে হবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে এসএমই ঋণ বিতরনের মাত্রা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোকে বিষেশভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি ঋণ প্রদানের ঝুঁকির মাত্রাও কমে যাবে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে জনতা ব্যাংক। গত বছর দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে জনতা ব্যাংক সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
জেডএস