ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গুলশানের অলিভ গার্ডেন রেস্টুরেন্টের মূসক ফাঁকি

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬
গুলশানের অলিভ গার্ডেন রেস্টুরেন্টের মূসক ফাঁকি

ঢাকা: অভিজাত, মুখরোচক আর চাইনিজ খাবারের সমাহার। দেশি-বিদেশি ভোজন রসিকদের আনাগোণায় মুখরিত সারাক্ষণ।

ভোক্তাদের কাছ থেকে মূসক নেয়, কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয় না! ব্যবহার করে নীল চালান। ইসিআর থাকলেও কৌশলে তার হিসাব মুছে ফেলা হয়।
 
রাজধানীর গুলশান-২ এর অভিজাত অলিভ গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ‘কৌশলে’ দু’বছরে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকার মূসক ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অভিযানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
 
সূত্র জানায়, মূসক নেয়, ইস্যু করে না মূসক চালান। ইসিআর ব্যবহার করে, কিন্তু ডাটা মুছে দিয়ে মূসক ফাঁকি দেয়।
 
অভিযোগ পেয়ে ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের গুলশান বিভাগের কর্মকর্তারা রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালায়। অভিযানে মেলে অভিযোগের সত্যতা।
 
অভিযানের শুরুতে অলিভ গার্ডেনের কর্মকর্তারা মূসক চালান ইস্যু বই ও রেকর্ডপত্র লুকিয়ে রাখা হয় না বলে রেহাই পেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু মূসক কর্মকর্তারা তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৯৩টি মূসক-১১ বই জব্দ করে। সাথে ডাটা মুছে মূসক ফাঁকির অভিযোগে জব্দ করা হয় ইসিআর মেশিন।
 
অলিভ গার্ডেন রেস্টুরেন্টের কর্মকর্তারা যুক্তি দেখান, অলিভে বহু চাইনিজ নাগরিক খাবার খান। তারা কোম্পানিকে প্রদর্শনের জন্য বিলে অতিরিক্ত বিল উল্লেখ করাতে বাধ্য করেন।
 
জব্দ করা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ইসিআরের মূসক ট্রেজারি চালানে নামমাত্র রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মূসক-১১ চালানের মাধ্যমে সরবরাহতকৃত সেবার ক্ষেত্রে প্রদেয় মূসক ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়নি।
 
প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের মার্চ থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত মূসক-১১ চালানের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৬৭ টাকা সেবা সরবরাহ করেছে।
 
এরমধ্যে ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা মূসক ফাঁকি দিয়েছে। এছাড়া অন্যভাবে মূসক ফাঁকি দিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
 
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মূসক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছে প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র দু’বছরে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকার মূসক ফাঁকি দিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।