ঢাকা: দেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বিকাশ ও এ খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আগামী ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ‘৪র্থ বাপা ফুড প্রো বাংলাদেশ ২০১৬’।
একই সঙ্গে একই সময় এ খাত সংশ্লিষ্ট ‘৫ম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৬’ ও ‘রাইস অ্যান্ড গ্রেইনটেক এক্সপো-২০১৬’ও অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ও এক্সট্রিম এক্সিবিউশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর আয়োজন করবে।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাপা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাপা’র সভাপতি এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, আগের তিনটি মেলায় সাফল্য ও অভূতপূর্ব সাড়ার ধারাবাহিকতায় এ মেলা ও এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
বাপা’র সদস্য ৪৭৯টি কোম্পানিও মেলায় অংশ নেবে। মেলায় পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশন হবে। এছাড়া থাকবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যাচিংয়ের ব্যবস্থা।
বাপা সভাপতি বলেন, ফুড সেক্টরকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রফতানিমুখী করাই মেলার উদ্দেশ্য।
দেশের ফুড সেক্টর আগের চেয়ে অনেক কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফুড বর্তমানে ১৪০টি দেশে রফতানি হচ্ছে। আরো বেশি দেশে রফতানির লক্ষ্যে এ খাতের কোয়ালিটি ও কাঠামোগত উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।
মুন্সি বলেন, বিগত অর্থবছর এ খাত প্রায় এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকার খাদ্য রফতানি করেছে। মেলা ও পণ্যের মানোন্নয়নের মাধ্যমে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যেই রফতানি আয় ১০ হাজার কোটি টাকা করাই আমাদের লক্ষ্য।
এ খাতের উৎপাদিত কাঁচামালের মান বাড়াতে আমরা কৃষক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। দক্ষ জনবল তৈরিতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আহমাদ ফরহাদ বলেন, ফুড সেক্টর সবচেয়ে অগ্রসরমান একটি সেক্টর। এ খাতে রফতানির পাশাপাশি দেশেও চাহিদা বাড়ছে।
দেশের বাইরে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি অভিবাসী বাংলাদেশি খাদ্যের বড় মার্কেট। স্কয়ার, প্রাণ, এসিআই’র পণ্য বিদেশে বিভিন্ন সুপার মার্কেট দখল করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
আরইউ/এসজেএ/জেডএস