ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিম্নমানের পাথর আমদানি করতে চাপ দিচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
নিম্নমানের পাথর আমদানি করতে চাপ দিচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: নিম্নমানের পাথর আমদানি না করলে আগামী ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে সব পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুকুমার সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়।



এ প্রেক্ষিতে সংকট মেটাতে সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতেই সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১০ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সোনা মসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আবু তালেব বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের এক তরফা সিদ্ধান্তের পরিণতিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পাথর চিপস ও বোল্ডার রপ্তানি স্থগিত রয়েছে। ফলে বাণিজ্যিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের। অনির্দিষ্টকাল এ অবস্থা চলতে পারেনা। অবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণের আবেদন করছি।

এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া না হলে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে যাবতীয় পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে বলেও এ চিঠিতে জানানো হয়।

ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পাথর চিপস ও বোল্ডার রপ্তানি মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে। তবে চিঠিতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও পারস্পারিক মতবিনিময়ের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।

মহদীপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশের ওই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে সোনা মসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পানামা পোর্ট লিংক  লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সোনা মসজিদ শ্রমিক সমন্বয় কমিটিকে।

এদিকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সোনা মসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কবিরুল ইসলাম খোকন।

তিনি জানান, এ চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা এক ধরনের চাপ দিয়েছে তাদের নিম্নমানের পাথর নেওয়ার জন্য। তাদের এ চাপ বা হুশিয়ারি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশি আমদানিকারকরা অর্থের বিনিময়ে পাথর নিচ্ছেন। ধূলা-বালু ও মাটি মেশানো ব্যবহার অনুপোযোগী পাথর কেন নেবেন। তারা যতোই হুমকি দিক না কেনো চাহিদা মতো উন্নতমানের পাথর সরবরাহের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত সোনা মসজিদ দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ থাকবে।

এদিকে সংগঠনটির সম্পাদক আবু তালেব জানান, অনেক আলোচনার মাধ্যমে তিনি দু’টি শর্তে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের পাথর রপ্তানিতে সম্মত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা আবারো বেঁকে বসেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভারতীয় বিভিন্ন রপ্তানিক‍ারকরা এ দাবি থেকে সরে আসবে এবং পাথর আমদানি-রপ্তানি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এদিকে কয়েকদিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় এ কাজে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৫শ’ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।