ঢাকা: নাগরিক জীবনে প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস প্রায় হারিয়ে গেছে। যথাযথভাবে পুষ্টি চাহিদা পূরণ না হওয়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও যাচ্ছে কমে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় প্রাকৃতিক কৃষি বিপণন কেন্দ্রে ‘প্রান্তজনীয় যোগাযোগ গবেষণা কেন্দ্র (প্রাযোগ)’ আয়োজিত ‘খাদ্য তালিকায় ফুল শীর্ষক’ আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
অনুষ্ঠানে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ফুল প্রদর্শিত হয়। এতে দর্শনার্থীরা এসব ফুলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
আলোচনার শুরুতে ‘প্রাযোগ’ পরিচালক ও প্রাকৃতিক কৃষক দেলোয়ার জাহানের সঞ্চালনায় পশ্চিম বাংলার নদিয়ার ফুলিয়া কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহ-কৃষি অধিকর্তা ড. অনুপম পালের ‘খাদ্য তালিকায় ফুল’ শীর্ষক প্রবন্ধটি তুলে ধরেন সরকারি বাংলা কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসমত মুন্নী আরা।
তিনি বলেন, ফুল খাদ্য তালিকায় রেখে খনিজ লবণ, ভিটামিন- এ, বি, সি, প্রোটিন, শর্করা, পটাসিয়ামসহ নানা উপাদানের অভাব পূরণ করা সম্ভব। তাই ফুল শুধু উপহার বা সাজিয়ে রাখার জন্য নয়, খাবার হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে।
অধ্যাপক ইসমত মুন্নী আরও বলেন, আমাদের সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ খুবই জরুরি। বিভিন্ন ধরনের ফুল খাদ্য হিসেবে নিয়ে আমরা পুষ্টির উপাদানকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারি।
খাদ্যাভ্যাস বিষয়ক গবেষক অনার্য তাপস বলেন, খাবারের বিভিন্ন সংস্কৃতি আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে খাদ্য গ্রহণ করে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস আমরা ভুলতে বসেছি। তৃণমূল পর্যায়ে কিছুটা প্রচলন থাকলেও নগরে তা একেবারেই দেখা যায় না। ফুলও প্রাকৃতিক খাদ্যের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ একটি খাদ্য।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের রীতি ও কৃষ্টি মেনে শরীরের প্রয়োজনে প্রাকৃতিক খাদ্য আমরা খুব বেশি গ্রহণ করতে পারছি না। ঋৃতু বদলের সময় নানা রোগ দেখা দেয়। রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক খাদ্য ভূমিকা রাখে। তেতো জাতীয় শাক নানা রোগ প্রতিরোধ করে। বসন্ত রোগের চিকিৎসায় সজিনার ফুল কার্যকরী। এ রকম বিভিন্ন ফুল আছে যার মাধ্যমে আমরা পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
একে/এমজেএফ