ঢাকা: নকল কার্ড তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা লোপাট করার ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডকে আরও সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ইস্টার্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান অনুষ্ঠানে তারা এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ইস্কান্দার মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর নাজনীন সুলতানা ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান উর রশিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।
উপস্থিত গ্রাহকদের একজন মাহবুবা আক্তার বলেন, মানুষের ভরসার জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। সেই ব্যাংকেই যদি এরকম জালিয়াতির ঘটনা ঘটে, তাহলে আর ভরসা থাকবে কোথায়?
ভবিষ্যতে আর কোনোদিন এটিএম কার্ড ব্যবহার করবেন কি না- তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজনীন সুলতানা বলেন, অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমরা যতই ডিজিটালাইজড হচ্ছি, প্রতিকুলতাও ততই কঠিন হচ্ছে। সেগুলোকে মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাসান উর রশিদ বলেন, এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস স্থাপন করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এ ধরনের ঘটনা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। আমাদের প্রতি আস্থা রাখার আহবান জানাচ্ছি।
শুভঙ্কর সাহা বলেন, গ্রাহকের জন্য বিড়ম্বনাপূর্ণ ঘটনার পর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ওই সময়ে লেনদেন হওয়া সবগুলো কার্ড বন্ধ করে দিয়েছি।
সভাপতির বক্তব্যে ইস্কান্দার মিয়া বলেন, গ্রাহকের সচেতনতার কারণেই এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ সময় তিনি এটিএম বুথগুলোতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা প্রহরীদের নিয়োগ দেওয়ারও আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালেই ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড তাদের ২৪ জন্য গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জমা করেছে। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পাঁচজনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চেক প্রদান করা হয়।
এরা হলেন, মাহবুবা আক্তার, শাসিফুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, আবু মুসা তারিক ও দীপন চন্দ্র দে। এদের মধ্যে মাহবুবা আক্তারকে ৮০ হাজার টাকা, শাসিফুজ্জামানকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মো. কামরুজ্জামানকে ৫ হাজার টাকা, আবু মুসা তারিককে ৫ হাজার টাকা ও দীপন চন্দ্র দে-কে ৭ হাজার টাকা ফেরতের চেক দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসই/আরএইচ
** ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইস্টার্ন ব্যাংক