ঢাকা: যে হারে মাছের উৎপাদন ও চাষ বাড়ছে সে হারে ব্যবহারের ধরন বাড়ছে না। কিন্তু মাছের ব্যবহারের ধরন যত বাড়বে ততই মাছের বাজার উন্নত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রফতানি আয়ের নতুন সম্ভাবনা ও খাদ্য হিসেবে মাছের বহুবিধ ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল সচিবালয় (এনএসডিসি)’র সম্মেলন কক্ষে ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব) আয়োজিত ও ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে ফোয়াব’র সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোয়াবের সহ সভাপতি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. বায়েজিদ মোড়ল।
এসময় তিনি মাছের বিভিন্ন পদের রান্নাসহ বিবিধ ব্যবহারের বিষয় তুলে ধরেন। মাছের রান্না বিষয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনের তথ্যও জানান তিনি।
এছাড়াও প্রবন্ধে ওঠে আসে মাছের কয়েকশ’ রকম খাবার তৈরির ধারণা। রফতানি বিষয়ে দিক নির্দেশনা ও এ খাতকে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার চিত্র।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনএসডিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম বলেন, মাছের প্রতিটি অংশই ব্যবহার করা যায়। মাছের তেল আজ অনেক বড় সম্পদে তৈরি হতে পারে। কিন্তু আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। যেকোনো জিনিসের বহুমুখী ব্যবহারের ধারণা না থাকার কারণে আমরা অনেকাংশ পিছিয়ে আছি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এফ এম ফকরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, মাছ চাষে সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। ড্রাই ফিসের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান এ বক্তা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইকোনমিক গ্রোথ প্রোগ্রাম (বিপিসি) প্রকল্প পরিচালক আহসান আবদুল্লাহ্ মাছ রফতানি ও মাছের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন পরামর্শমূলক তথ্য তুলে ধরেন।
মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক এম আই গোলদার বলেন, বর্তমানে সাড়ে ৩৫ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়। এরপরও ঘাটতি রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টনের মতো। প্রায় ৮৪ থেকে ৮৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো মাছ রফতানি হয়ে থাকে। এর ৬০ ভাগই চিংড়ি।
তিনি জানান, মাছ রফতানির জন্য এখন সাভারে আন্তর্জাতিকমানের ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখান থেকে রফতানিকারকরা নানা বিষয়ে সুবিধা পেতে পারেন।
প্রান্তিক চাষিদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দেন সেন্টার অব এক্সেলেন্স অ্যাগ্রো ফুড স্কিলস এর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভুইয়া। তিনি বলেন, ভ্যালু চেইন উন্নত করতে পারলে এই রুপালী খাতকে সোনালী খাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কিন্তু সেই বিষয়টি মাঠে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সমন্বয় থাকা খুবই জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
একে/জেডএস