ঢাকা: মানুষ, প্রাণী আর পরিবেশ। এই তিনের স্বাস্থ্যই একে ওপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।
বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি ১৮) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলা আন্তর্জাতিক ডেইরি, মৎস্য ও পোষাপ্রাণী মেলাতে দ্যা একমি ল্যাবরোটরিজ লিমিটেড’র স্টলে গিয়ে এমনটাই জানা গেলো।
প্রাণী ও মৎস্য খাতে ভিটামিন, মিনারেলসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় প্রায় ২০০ রকমের ওষুধ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবছরই নিয়ে আসছে নতুন নতুন পণ্য। এসব নিয়েও নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে স্টলটিতে।
স্টলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৯৯ সালে প্রাণী সম্পদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ খাতে ওষুধসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে যাত্রা শুরু করে একমি এনিমেল হেলথ শাখা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্রাণী সুরক্ষার পাশাপাশি প্রাণী থেকে অধিক উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।
‘ওয়ান হেলথ’ সম্পর্কে একমির হেড অব স্ট্রাটেজিক ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ভেটোরনারি) এ এস এম শামীম বাংলানিউজকে উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই ধারণাটি বিশ্ব স্বীকৃত। উন্নত অনেক দেশেই এই ধারণার ওপর কাজ হচ্ছে। যেহেতু একমিও একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান, তাই এই ধারণাটি সবার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, হেলদি পিপল, হেলদি এনিমেলস ও হেলদি এনভায়রনমেন্ট এই তিনের সমন্বয়ে ‘ওয়ান হেলথ’। মেলায় দর্শনার্থীদের কাছে এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরছেন স্টলের তরুণ কর্মীরা।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরুণ কোনো মানুষের যক্ষ্মা হলো। এই সংক্রামক ব্যাধি কিন্তু মানুষের কাছ থেকে প্রাণীদেরও হতে পারে। আবার ঠিক একইভাবে প্রাণীর ছোঁয়াচে কোনো রোগ মানুষের হতে পারে।
আবার কেচোকে প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয়। কেচোর বিষ্ঠা সার হিসেবে কাজ করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই মানুষকে সুস্থভাবে বাঁচতে হলে নিজেদের পাশাপাশি প্রাণী ও পরিবেশের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।
এ সবের ওপর ভিত্তি করেই সারা বিশ্বে এই তিন স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ‘ওয়ান হেলথ’ এর ধারণা তৈরি হয়েছে। যা একমি চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে তুলে ধরছে।
এ এস এম শামীম বলেন, প্রাণী সম্পদে কম দামে গুণগত মানসম্পন্ন বিভিন্ন পণ্যে বাজারজাত করছে একমি। ফলে খুব অল্প সময়ে গ্রাহকদের মন জয় করতে পেরেছে তারা।
এছাড়া তারা বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বও পালন করে আসছে। যেমন সারাদেশে তাদের বিভিন্ন চিকিৎসক রয়েছেন, যারা খামারিদের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
একমির ডেপুটি সেলস ম্যানেজার রাশিদুর রহমান রঞ্জু বলেন, উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি একমির প্রতিটি পণ্যের চাহিদা সব সময়ই বাড়ছে। অনেক বেশি উৎপাদন করে খামারিরা যেন দেশের দুধ, ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে একমি বাজারজাত করছে।
তিনি জানান, একমির পণ্যে সবসময়ই নতুনত্বের ছোঁয়া রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে একমি শুরু থেকেই পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করছে। খামারিরা যেন এসব পণ্য ব্যবহার করে লাভের মুখ দেখেন সেদিকটাও বিবেচনা এনে একমি কাজ করছে।
তৃতীয় বারের মতো তিনদিনব্যাপী অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) আয়োজন করেছে এ মেলা ও সেমিনারের। আগামী শনিবার শেষ হবে এ মেলা। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
একে/আরআই
** প্রাণিসম্পদের যাবতীয় সমাধান মিলছে ‘রেনেটা’য়