ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ছেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৬
পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ছেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: গত তিন মাস ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েই চলছে। তবে দাম বৃদ্ধির পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারছেন না পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।



বিক্রেতারা বলছেন, গত মাসে নতুন রসুন (দেশি) বাজারে আসায় এক সপ্তাহ দাম স্থির ছিল। বাজারে দেশি রসুনের চাহিদা থাকায় দাম বাড়ার একটি কারণ মনে করছেন তারা।

এদিকে, আমদানি রসুনের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা চাহিদা বেড়েছে দেশি রসুনের। যে কারণে এ সপ্তাহে ১০ টাকা বেশি দামে ১৪০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।

এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে অন্যসব পণ্যের দাম গত সপ্তাহের কাছাকাছি রয়েছে।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
 
আর রসুন বিক্রেতারাই পেঁয়াজ বিক্রি করেন বিধায় পণ্য দু’টির দাম বাড়ছে, এমনটা অভিযোগ ক্রেতাদের।

রামপুরা বাজারে ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, আমদানি পণ্যে সরকারের সামান্য কর বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা উৎসবে মেতেছেন। এটি দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ হতে পারেনা বলে মনে করেন এ ব্যাংকার।

সমর্থন দিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরকারের অতিরিক্ত করের কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়েনি।

আমদানি পণ্যে কর বৃদ্ধি হলে বাজারে তার প্রভাব পড়ে, এ কথাও মনে হয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা ভুলে গেছেন, যোগ করেন তিনি।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।  

এদিকে অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু। প্রতিকেজি আলু এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি। ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত দামে প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

গত সপ্তাহের অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। ছোট-বড় আকারভেদে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি (পিস) ২০০ টাকা এবং কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে।

গরু ও খাঁসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা।

বাজার ও ডিমের আকার ভেদে রাজধানীর বাজারে অপরিবর্তিত দামে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম হালি ৪৫ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪৬ টাকা।

দুই সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম স্থির থাকলেও আগামী সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্রেতারা।

আর অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে।

কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ৪০ টাকা কেজি, শালগম ২০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৬
এফবি/ জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।