ঢাকা: চলতি বছরের মার্চ মাসে এমনিতেই বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্থীতির হার। বিশেষ করে চিনি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।
এতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সেই জন্য বৈশাখে ইলিশ মাছ কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এমনিতেই ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে মূল্যস্থীতি হার বেড়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস-এর দেয়া হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে মার্চ মাসে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার আরও এক ধাপ বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তবে বাড়ি ভাড়াসহ আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমেছে। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, মার্চে যা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ(এনইসি) সভা শেষে এনইসি সম্মেলনে কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএস-এর দেওয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চিনি ও গরুর মাংসের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। তবে এপ্রিল মাসে বৈশাখী ইলিশ মাছের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে। তাই বৈশাখ মাসে ইলিশ মাছ কম খান।
তবে বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হারও। ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, মার্চ মাসে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
এমআইএস/আরআই