ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

পুনঃক্ষমতায়নে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৬
পুনঃক্ষমতায়নে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: শেষ হয়ে গেছে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিটের লাইফটাইম। ২৫ বছর আয়ুর এ ইউনিট এরই মধ্যে পার করে ফেলেছে প্রায় ২৬ বছর।

ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে। তবে পুনঃক্ষমতায়ন করলে এখন যে পরিমাণ গ্যাস পুড়িয়ে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে প্রায় ৪০৯ মেগাওয়াট পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

এ লক্ষ্যে ইউনিটটির পুনঃক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে ২১ দশমিক ৭ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭’শ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাজর্ষী পারাকার এতে স্বাক্ষর করেন।

ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাসচালিত চতুর্থ ইউনিট নির্মাণ করা হয় ১৯৮৯ সালে। একে একে ২৬ বছর পার করে ফেলেছে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট। কিন্তু এখন লাইফটাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় কমে এসেছে উৎপাদন। অতিরিক্ত গ্যাস পুড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে। এর ফলে ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিটকে পুনঃক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা নতুন রূপ দেবে পুরনো এই কেন্দ্রটিকে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৯০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৫৫৯ কোটি টাকা। বাকিটা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে রি-পাওয়ারিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় কার্যকর করা হবে। দক্ষতা উন্নয়ন, দূষণ নির্গমন কমানোর পাশাপাশি প্রকল্পটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নানা ধরণের যন্ত্রাংশ কেনা হবে। খুচরা যন্ত্রাংশ ও ডিজেল জেনারেটর স্থাপনসহ গ্যাস টারবাইন জেনারেটর ইউনিট ও গ্যাস বুস্টার কম্প্রেসন ইত্যাদি সরবরাহ এবং স্থাপন করা হবে। বিদ্যমান চতুর্থ ইউনিট ২০০ মেগাওয়াট স্টিম টারবাইন জেনারেটিং ইউনিটের প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন কাজও করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় হিট রিকভারি স্টিম জেনারেটর সেট (এইচআরএসজি) সরবরাহ ও স্থাপন করা হবে। গ্যাস টারবাইনের জন্য স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার, সুইচ গিয়ার, অক্সিলিয়ারি ট্রান্সফরমার ইত্যাদিও সরবরাহ করা হবে। চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ার ইভাক্যুয়েশন সিস্টেম রেনোভেশন ও নতুন গ্যাস টারবাইন ইউনিটের জন্য ইভাক্যুয়েশন সিস্টেম (জিআইএস) তৈরি করা হবে।

বিদ্যুতের উচ্চ চাহিদা মেটাতে প্রাথমিক জ্বালানী উৎসে বৈচিত্র্য আনতে, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ও বিদ্যুৎ বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত রি-পাওয়ারিং প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৬
এমআইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।