ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০ বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তের অংশ হিসেবে সিআইডির দু’টি টিম সংশ্লিষ্ট দুই দেশ ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় যায়। সিআইডির একটি প্রতিনিধিদল ৬ এপ্রিল ফিলিপাইনে গিয়ে ১৪ এপ্রিল ফিরে আসে। আর অন্য প্রতিনিধিদল একই দিনে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ১৫ এপ্রিল ফিরে আসে।
‘এই অপরাধে ২০ জন বিদেশির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে কারও নাম পরিচয় বলা যাচ্ছে,’ বলেন তিনি।
শাহ আলম বলেন, দুই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে তদন্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশের কয়েকটি সিকিউরিটি এজেন্সিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতেও রাখা হচ্ছে।
‘হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিজার্ভ চুরি অসতর্কতার কারণে হয়েছে, নাকি কেউ এই অপরাধে জড়িত ছিলো, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ’
জড়িত বিদেশিদের বিচারের আওতায় আনা যাবে কিনা কিংবা এ র প্রক্রিয়া কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্তি ডিআইজি শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই যে কোনো বিদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
‘বিদেশি নাগরিকদের ধরতে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিপাইনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় টাকা ফেরতেরও চেষ্টা চলছে।
‘সিআইডি প্রতিনিধিদল এফবিআই, মানি লন্ডারিং আইনের এক্সপার্ট ও ফিলিপাইন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছে। তদন্তে ২০ জন বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য ফিলিপাইনের ওপরও আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী, রায়হান উদ্দিন খান, বিশেষ পুলিশ সুপার (এফটিআই) জান্নাত আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬/আপডেট ১৬৫৪ ঘণ্টা
এসজেএ/এইচআর/এইচএ/এমএ