ভোলা: ভোলায় গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধানে জুলাই মাসে আরো দু’টি কূপ খননের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধ্যান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স।
কিছুদিন আগে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান করে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পেয়েছেন বাপেক্স’র একটি টিম।
ভোলার জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে শাহবুজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে, তার চেয়েও তিন থেকে চার গুণ গ্যাস রয়েছে বলে জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পেরেছি।
তারা আমাদের জানিয়েছেন, জুলাই মাসে আরো দু’টি গ্যাসের কূপ খনন করা হচ্ছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ গ্যাস রয়েছে।
ভোলার শাহবজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের বাপেক্স কর্মকর্তা ফিল্ড ইনচার্জ জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে চারটি কূপে প্রায় ৩৯০ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এ থেকে পুরো জেলায় দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ৪২ বিলিয়ন ঘনফুট। এ গ্যাস ২২৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎপ্লান্ট, ৩৪ দশমিক ৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎপ্লান্ট ও বেশ কিছু আবাসিক লাইনে গ্যাস সরবরাহ হয়ে আসছে। সে হিসেবে গত ৮ বছরে এ পর্যন্ত গ্যাসের খরচ হয়েছে ২০ বিসিএফ ঘনফুট। এখন অব্যহৃত রয়েছে ৩৭০ বিসিএফ ঘনফুট।
তিনি আরো জানান, গ্যাসের প্রাপ্যতা যাচাইয়ের জন্য সার্ভে জরিপ সমাপ্ত হয়েছে। ওই জরিপ টিম জেলায় আরো অনেক গ্যাসের সন্ধান পান। তবে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শিল্প উদ্যোক্তা মইনুল হোসেন বিপ্লব বাংলানিউজকে বলেন, খুব শিগগিরই ভোলা একটি সমৃদ্ধশালী জেলায় পরিণত হবে। কারণ যে পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তাতে সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কোম্পানি ভোলাতে ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দিন দিন উন্নত জেলা হবে ভোলা। অন্যদিকে এখানকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে।
ভোলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি সভাপতি আবদুল মমিন টুলু বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তাগণ ভোলাতে জমি খুঁজছেন, খুব দ্রুত তারা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। এতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক শিল্পনগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এ জেলা।
১৯৯৩ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্যাস আবিষ্কার হয়। এরপর ওই বছরই ১নং কূপের খনন করা হয়, যা ২০০৫ সালে সমাপ্ত হয়। ২০০৭ সালের দিকে ২নং কূপের খনন কাজ শুরু হয়ে যার শেষ হয় ২০০৮ সালের দিকে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের দিকে আরো দুটি (৩ ও ৪ নং) কূপের খনন কাজ শেষ হয়। বর্তমানে ১ ও ৩ নং কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হয়ে আসছে। তবে ২০০৯ সাল থেকে ১নং কূপ থেকে গ্যাস উত্তেলন হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপিল ২২, ২০১৬
এটিআর/এসএইচ