ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার শেষ কিস্তি ছাড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার শেষ কিস্তি ছাড়

ঢাকা: দেশীয় পণ্য আর্ন্তজাতিক বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার উৎসাহ যোগাতে সরকার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। চলতি অর্থবছর সরকার এ খাতে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।

নগদ এ সহায়তার শেষ (চতুর্থ) কিস্তি সোমবার (২৫ এপ্রিল) ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
 
এদিকে, সুবিধাভোগীদের কাছে ছাড় করা অর্থ পৌঁছাতে মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ডেবিট অথরিটি জারি করবে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি হিসাব থেকে ডেবিট করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সুবিধাভোগীদের রপ্তানি ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করবে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রপ্তানি খাতে ভর্তুকি হিসেবে শেষ কিস্তির ৮৭৫ কোটি ছাড় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে অর্থ পরিশোধে সব ধরনের অনিয়ম রোধ ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
 
এর আগে একই খাতে তিন কিস্তিতে ২ হাজার ৬শ’ ২৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। শেষ কিস্তির ৮৭৫ কোটি টাকাও বছরের শেষ সময়ে এসে ছাড় করলো অর্থ বিভাগ।
 
রপ্তানি খাত চাঙা করতে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সরকার চলতি অর্থবছর নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি বাবদ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।
 
জানা গেছে, রপ্তানি খাতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এছাড়াও নতুন পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে (যুক্তরাষ্ট্র/কানাডা/ইইউ ব্যতীত) হিসেবে ২ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
 
চলতি অর্থবছরে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি সুবিধা পাওয়া খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রপ্তানিমুখী দেশী বস্ত্র শিল্প। শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে নগদ সহায়তা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ।
 
হাড়ের গুঁড়া রপ্তানিতে নগদ সহায়তার হার ৫ ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
 
এছাড়া পাটজাত পণ্য (হেসিয়ান, স্যাকিং ও সিবিসি) রফতানিতে নগদ সহায়তার হার ৭.৫ ও পাট সুতা রফতানিতে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
বস্ত্র খাতের নতুন পণ্য বা নতুন বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা ৩ শতাংশ, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতে তৈরি পণ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, জাহাজে ৫ শতাংশ, আলুতে ২০ শতাংশ, পেট বোতলে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
রপ্তানির তালিকায় বৈচিত্র্যকরণ পাটজাত পণ্য যোগ হয়েছে।
 
পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে সরকারের কাছ থেকে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে। তবে এ ধরনের পণ্য রফতানি করে নগদ সহায়তা পেতে হলে পণ্যে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকতে হবে।
 
ব্যাংকে এলসি খুলে ও গ্রাহকের ক্রয়চুক্তির বিপরীতে সরাসরি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর অর্থমন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করেছে।
 
বাংলাতেশ সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।