ঢাকা: গত চারদিনে মূসক চালানবিহীন ও বন্ডের আওতায় আনা পণ্যবাহী আরো ২৩টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেছে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
মঙ্গলবার (১০ মে) মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মূসক চালানবিহীন, বৈধ কাগজপত্রহীন ও বন্ডের আওতায় অবৈধভাবে খালাসকৃত এসব ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।
জব্দের পর ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো ঢাকা কাস্টমস হাউস ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চত্বরে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মূসক চালানবিহীন ৩১টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
বেলাল হোসাইন জানান, রাজধানীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও চিহ্নিত পয়েন্ট থেকে মূসক গোয়েন্দার দিবা ও নৈশ দল এসব ট্রাক জব্দ করেছে।
আটক করা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সংশ্লিষ্টরা মূসক চালান, বন্ডের পণ্যের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মূসক ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব ট্রাকে পণ্য এনেছেন।
জব্দ করা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে ছিল প্লাস্টিক ও এলডিপি দানা, রেজিন পাউডার, সিজিপিসি ব্যাগ, প্যাকেজিং সামগ্রী, টুকরা কাপড়, সিমেন্ট, লাইনার পেপার, বৈদ্যুতিক তার, বাল্ব, ফেব্রিক্স, ক্যান্ডি, লেবেল ইলাস্টিক, ওষধ, পিভিসি নেট, কেমিক্যাল, দেশীয় রেক্সিন ও এমএস রড।
আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক চালান, বন্ড সুবিধা অনুমোদনের কাগজপত্র সঙ্গে রাখার কথা থাকলেও চালকরা ভাড়ার রশিদ ছাড়া কিছু দেখাতে পারেননি।
মূসক আইন ১৯৯১ এর ৩২ ধারা ও ১৬ বিধি অনুযায়ী ভ্যাট যোগ্য পণ্যসহ কোন ট্রাক ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গন থেকে বের হলে তার সাথে ভ্যাট চালান রাখতে হবে।
আটককৃত ট্রাক ও কাভার্ডগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
মূসক ও বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহার করে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বর্তমান এনবিআর ফাঁকির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
আরইউ/এএসআর