ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল বসাতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল বসাতে হবে

ঢাকা: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব নতুন স্থাপনায় সোলার প্যানেল বসানোর বাধ্যবাধকতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

একইসঙ্গে নতুন স্থাপনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা পদ্ধতি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

আর বিদ্যমান স্থাপনাগুলোতে এ তিনটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার  কথা বলা হয়েছে। এজন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো সময় পাবে আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত। আর সরকারি ব্যাংকের জন্য এ সময় দেওয়া হয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত।

বুধবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ এ সম্পর্কিত এক প্রজ্ঞাপন দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠায়।

এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নতুন কোনও স্থাপনা নির্মাণের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
 
আরও বলা হয়েছে, নির্মাণ এলাকায় জলাধার থাকলে তা অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। আর যদি জলাধার না থাকে তাহলে নতুন জলাধার তৈরি করতে হবে, যাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায়। এছাড়া নতুন যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের সময় সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করতে হবে।

নতুন শাখা বা ব্যবসায় উন্নয়ন কেন্দ্র যদি ভাড়া করা বা ইজারা নেওয়া স্থাপনায় খোলা হয়, সেক্ষেত্রে ওই স্থাপনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সোলার প্যানেল স্থাপন করতে হবে।

যেকোনো অর্থায়ন ও অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঋণ গ্রহীতাদের সব নতুন স্থাপনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা আছে কিনা সে বিষয়েও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত হতে হবে।

একইভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানেও অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা আছে কি না সে বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত হতে হবে।

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) ও সরকারি হাসপাতালে এবং দেশের তুলনামূলক অনুন্নত, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে অথবা অত্যন্ত স্বল্প খরচে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ও সরকারিভাবে স্বীকৃত নন প্রফিট প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদান প্রদান অথবা হ্রাসকৃত সুদ হারে অর্থায়ন করতে পারবে।

এরূপ অর্থায়ন জলবায়ু ঝুঁকি তহবিলের ব্যবহার হিসাবে পরিগণিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এসই/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।