ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন জার্মান প্রযুক্তির হ্যামার এখন পদ্মাসেতু প্রকল্পে। ২ হাজার ৫শ’ টন ওজনের আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামারটি।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুখবরটি দেন। সেতুর প্রধান চ্যালেঞ্জিং কাজ পাইলিং। মোট পাইলিং হবে ২৬৪টি। পাইলিং কাজ দ্রুত সময়ে শেষের লক্ষ্যেই আরও একটি হ্যামার পদ্মাসেতু প্রকল্পে আনা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাইলিং কাজ দ্রুত করতে শিগগিরই বড় হ্যামার আনা হবে।
৬, ৭, ৩৬, ৩৭, ৪৯ ও ৫০ নম্বর পিলারের পাইলিং কাজ চলছে। ১ ও ৪২ নম্বর পিলারে ১২টি করে পাইলিং হবে বাকিগুলোতে হবে ৬টি করে। মূল সেতুর এলাইনমেন্ট বরাবর ১৫০ মিটার প্রশস্ত করে চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। পিলার হয়ে গেলে এক বছরের মধ্যেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে। কারণ সেতুর গার্ডার তৈরি হচ্ছে চায়নাতে। পাইলিং হয়ে গেলেই এগুলো পিলারের উপরে বসিয়ে দেওয়া হবে। এক কথায় বলা যায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মতো বসবে পদ্মাসেতু।
বৃহস্পতিবার সভার পর পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার নিজ কক্ষে এক আলাপচারিতায় এ তথ্য জানান।
পদ্মাসেতু প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে স্বায়ত্ত্বশাসিতসহ মোট উন্নয়ন বাজেট ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
আগামী নতুন বছরের এডিপি অনুমোদনের সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুশাসন দেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে করে এডিপি বাস্তবায়নে আরও গতি পাবে।
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক পিডি (প্রকল্প পরিচালক) একের অধিক প্রকল্পে দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। প্রকল্প এলাকায় সব সময় পিডি’কে থাকতে হবে। চট্টগ্রাম এলাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পিডিকে চট্টগ্রামে থাকতে হবে। চট্টগ্রামের প্রকল্প পিডি যদি ঢাকায় থেকে দেখভাল করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধীরগতির প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পে বারবার সময় ও অর্থ বাড়ানো হচ্ছে সেসব প্রকল্প বাতিল করা হবে। দরকার হয় নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যেসব প্রকল্প স্থবির হয়ে আছে তা সুরাহা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এমআইএস/আইএ