ঢাকা: বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকরা ঠিক মতো আয়কর দিচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ওয়াহীদ উদ্দিন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এই মত প্রকাশ করেন তিনি।
প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমাদের অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। যা গত বছরে ১২ মিলিয়ন ডলারের মতো। আবার এই শ্রমিকরাই দেশে ফিরে কাজ পাচ্ছেন না। তারা প্রবাসে আরেক দেশের উন্নয়নের জন্যে শ্রম দিচ্ছেন। অথচ আমরা আবার আরেক দেশ থেকে লোক নিয়ে আসছি কাজ করার জন্যে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে ভারতে প্রতি বছর আমাদের দেশ থেকে আবার ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যন্স হিসেবে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব ভারতীয়রা কাজ করছেন, তারা বৈধ ভাবে কাজ করছেন কিনা, সেটি দেখতে হবে। তারা কর পরিশোধ করছেন কিনা, কারণ বিদেশিদের জন্যে নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কর যদি প্রদান করা হয়, আমাদের আয়কর আরেকটু ভালই হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, বর্তমানের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বড় বাজেট করা হচ্ছে। অথচ আমাদের বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের তুলনায় ব্যবহারের চাহিদা কম। জিডিপি'র তুলনায় বিনিয়োগও বাড়ছে না।
ওয়াহীদ উদ্দিন বলেন, সরকার বেশ কিছু বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে কাঠামোগত প্রকল্প ছাড়াও রয়েছে বিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে, সেগুলোর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উড়াল সড়কের কারণে যেন বিকল্প সড়কের ব্যবহার কমে না যায়।
আলোচনা সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশের সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, আমরা শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতের বাজেটে দুই অংকের ঘরে পৌছাতে না পারলেও প্রতিরক্ষা খাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাজেট বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলোতে বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
এফবিসিসিআই ও অগ্রণী ব্যংকের পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ বলেন, আমাদের কিছু খাতে রপ্তানি ও আমদানিতে আরো কর বাড়ানো উচিত।
আইসিএবি'র সভাপতি কামরুল আবেদিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- মাইডাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, বাংলাদেশ অর্থনীতি বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের হায়দার আহমেদ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১০০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
এমএন/বিএস