ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

 ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
 ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান ছবি: বাদল

ঢাকা: নিজস্ব প্রতিভা ও দৃঢ়তায় সফলতার স্মারক হিসেবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন চার নারী, দুই পুরুষ ও দুটি প্রতিষ্ঠান।  পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রত্যেকেই নিজস্ব মেধায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

সিটি ফাউন্ডেশন ১১তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কারে সহ আয়োজক ছিলেন- সাজেদা ফাউন্ডেশন, ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ), এন এ  বাংলাদেশ। প্রতিবছর সারাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে তাদের কাজের অনুপ্রেরণা জোগাতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা:

বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পুরস্কার পান গাংনী মেহেরপুরের ইসরাত জাহান। তিনি ফিস ফিড উৎপাদন করে মেহেরপুর জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন। শুধু তাই নয়, তার দেখা দেখি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ষোলো টাকা গ্রামে অনেকেই এখন মৎস্য চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। পুরস্কার হিসেবে ইসরাত জাহানের হাতে একটি ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক ও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।

ইসরাত জাহান তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্রী।   চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজেই কিছু করার স্বপ্ন দেখি। প্রথম স্বল্প পরিসরে ফিস ফিড উৎপাদন শুরু করি। এরপর স্বামীর সহযোগিতায় কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করি। আমি মাছ চাষ ও মাছের খাবার উৎপাদন করে বছরে ২৭ লাখ টাকার মতো আয় করি। আমার খামারে প্রায় ১০০ জন লোক কাজ করছে। গাংনী এলাকর প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এখন মাছ চাষ করেন।

বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে রানারআপ হন মেরাদিয়া, খিলগাঁও এর হাসিনা ইসলাম। তিনি স্কাইনিড় তৈরি পোশাক করে আত্মনির্ভরশীল হন। পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকার চেক।

 বছরের শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা:

বছরের শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পুরস্কার পান পুরানবাজার, চাঁদপুরের সোহেল মিয়াজি। তিনি মাছ চাষে আনেন ভিন্নতা। এতদিন পুকুরে বা ডোবায় মাছ চাষের কথা শোনা গেলেও এবার নদীর বহমান জলে মাছ চাষের নজির স্থাপন করে পুরস্কার পেলেন সোহেল মিয়াজি। পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয় তাকে।

এবিভাগে রানার আপ আলাইপুর (নাটোর) এর মো. সেলিম রেজা। ফল ও সবজি উৎপাদন করে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হন। পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

 বছরের শ্রেষ্ঠী নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা:

এবার বছরের শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হন বিশ্বাসপুর, মাদারগঞ্জের (ঠাকুরগাঁও) আফিনা বেগম। তিনি জৈব সার উৎপাদন করে নিজে স্বালম্বী হওয়ার পাশাপাশি ৪৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া  হয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই বিভাগে রানার আপ গোয়ালচামট, ফরিদপুরের রিনা বেগম। ব্যাগ তৈরি করে অর্থনীতির চাকা ঘোরাচ্ছেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে তাকে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকার চেক।

এছাড়া বছরের শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে পুরস্কার পায় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক)। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ৪ লাখ টাকার চেক। এই বিভাগের রানার আপ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ৩ লাখ টাকার চেক।

পুরস্কার দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও আরলিংকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ১১তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার এর উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজ্জা কবির, ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, সিটি বাংলাদেশের পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি অফিসার মো. মইনুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬

এসএম/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।